বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বিদেশি শক্তির যে তৎপরতা রয়েছে, তা পত্রিকায় দেখা যাচ্ছে। আমেরিকা তাদের নিজের দেশের নির্বাচন নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। বর্তমান প্রেসিডেন্টের এক ছেলেকে দুর্নীতির দায়ে জিজ্ঞাসাবাদের শিকার হতে হয়েছে। অথচ আমাদের দেশে নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা এমন ভাব করছে মনে হচ্ছে তারা যেন পূতপবিত্র৷
আজ (শনিবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতন্ত্রী পার্টি আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
ওয়ার্কাস পার্টির এই সভাপতি বলেন, আমেরিকা এমন ভাব করছে তারাই যেন গণতন্ত্রের ধারক-বাহক। মার্কিন দূতাবাস যেন কোনো রাজনৈতিক দলের অফিস। সেখান থেকেই মনে হয় আসে কোথায় কী করবে। আমাদের ওপরে স্যাংশন দেওয়া হয়েছে এবং ভিসানীতি প্রয়োগ করা হয়েছে। সুতরাং প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে।
মেনন বলেন, বর্তমানে দেশে গণতন্ত্রের যে ধারা তাতে অবশ্যই কিছু ত্রুটি রয়েছে, কিছু ভুল-ভ্রান্তি রয়েছে, বৈষম্য ও অনাচার রয়েছে, সবই রয়েছে। তারপরও আমি বলব আমাদের সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আপনারা খেয়াল করে দেখবেন কয়েকদিন আগে ইসলামি ছাত্রশিবির যে মিছিল করেছে সেখানে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কিংবা ইসরায়েলিদের বিপক্ষে একটি শব্দ উচ্চারণ করেনি। আপনারা দেখতে পাবেন ফিলিস্তিন ইস্যুতে জামায়াতে ইসলামি কিংবা বিএনপি একটি বিবৃতিও দেয়নি৷ অথচ তারাই ইসলামের ধারক-বাহক হিসেবে রয়েছে৷ এগুলো সম্ভব হয়েছে দেশের প্রগতিশীল শক্তির বিলুপ্তির কারণে এবং প্রগতিশীল শক্তির ঐক্যের অভাবে।