১৯৮৫ সালে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর পৌর শহরের নতুন বাজারে যৌথ মালিকানায় নির্মাণ করা হয় উত্তরা টকিজ নামে এই সিনেমা হলটি। একসময় সিনেমা হলটি ছবি প্রদর্শনে জৌলুস ছড়াত শহর থেকে গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত। পার্শ্ববর্তী বদরগঞ্জ ও চিরিরবন্দর উপজেলা থেকেও ছবি উপভোগের জন্য দর্শকের সমাগম ঘটত হলটিতে।
২০১৯ সালের মাঝামাঝিতে পার্বতীপুরের সর্বশেষ ও বৃহৎ সিনেমা হলটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সেটি একেবারের ভেঙে ফেলা হয়। পুরো সিনেমা হল ভাঙলেও মেশিনঘরটি এখনো অক্ষত রয়েছে। অক্ষত রয়েছে নিচতলার প্রবেশদ্বার ও টিকিট কাউন্টার। সামনের এই অংশটি এখন খাবারের হোটেল হিসেবে চলছে।
সিনেমা হলের নাম অনুসারে এর নামও দেওয়া হয়েছে উত্তরা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট। মূল মালিকরা নন, একজন নারী জায়গাটি ভাড়া নিয়ে এই রেস্তোরাঁ চালাচ্ছেন। একসময় যখন মানুষ টিকিট কেনার জন্য লাইন ধরত, গলগম করত হল-বারান্দা, সেই জায়গাটি কালের পরিবর্তনে এখন খাবার হোটেল।
এই সিনেমা হলের কারণেই পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত যে রাস্তাটি হয়েছিল, সেটির নাম ছিল সিনেমা রোড। জনসমাগম না থাকায় সিনেমা হল রোডের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, সাধারণ দোকানপাটের ক্রয়-বিক্রয়েও ভাটা পড়েছে।উত্তরা টকিজ ছাড়াও পার্বতীপুর ক্যান্টনমেন্টের গ্যারিসন সিনেমা ও সাগর টকিজ নামের দুটি সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে উত্তরাই ছিল পার্বতীপুরের একমাত্র সিনেমা হল। সেটিও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন সেখানকার কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা।