“এদেশের শ্রমিকরা কেবল সরকার, মালিক পক্ষ রাজনৈতিক দলদ্বারাই উপেক্ষিত নয়, দেশের ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং প্রিন্টি মিডিয়াতেও উপেক্ষিত। করোনাকালে সরকার যেখানে পাটকল-চিনিকল শ্রমিকদের বেকার বানিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল ব্যক্তিমালিকানায় তুলে দেয়ার একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছে, তখন পাটকল-চিনিকল শ্রমিকরা দেশব্যাপী যে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তা গণমাধ্যমে উল্লেখ পর্যন্ত করা হয় নাই। শ্রমিক শ্রেণীর প্রতি এসব মহলের এ ধরণের দৃষ্টিভঙ্গীর কারণে গাজীপুরের লড়াকু বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শ্রমিক আন্দোলনের দীর্ঘদিনের নেতা মীর দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর খবর কোন সংবাদমাধ্যমেই জায়গা পায় নাই। অথচ এরাই প্রগতিশীলতা, অগ্রবর্র্তী চিন্তার কথা বলে। চমক-চুটকী ছাড়া আর কিছুই তাদের বিবেচ্য নয়। তারপরও এদেশের শ্রমিকরা যতদিন বেঁচে থাকবেন, প্রগতিশীল আন্দোলন বেঁচে থাকবে ততদিন মীর দেলোয়ার হোসেনরা বেঁচে থাকবেন।”
আজ ৩১ মে গাজীপুর জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীর দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুতে গাজীপুর জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত শোক সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি জননেতা কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি অনলাইনে যুক্ত হয়ে একথা বলেন। গাজীপুর জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত শোক সভায় জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কামরূল আহসান ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ, এরশাদ স্বৈরাচার বিরোধী, সকল আন্দোলন, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান ও সর্বশেষ বিএনপি-জামাত শাসন বিরোধী সংগ্রামে মীর দেলোয়ার হোসেনের ভূমিকা তুলে ধরেন।সভায় তার পুত্র বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সামসুল আলম সজ্জন, পুত্রবধু ফাতেমা সুলতানা শুভ্রা,সহকারী অধ্যাপক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেয়ে সানজিদা সঞ্চারী উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চলনা করেন গাজীপুর জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মামুন হোসেন।