নতুন কথা প্রতিবেদনঃ করোনার থাবা লেগেছে প্রকাশনা সেক্টোরেও। দেশের পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতাদের খুবই করুণ সময় কাটছে। বই বিক্রি একেবারেই নেই। কর্মচারীর বেতন, গুদাম ভাড়া, দোকান ভাড়া দিতে গিয়ে অনেকে ঋণ গ্রস্ত।পুস্তক ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে প্রনোদনার আবেদন করেও ন্যূনতম প্রনোদনাও পায়নি। ফলে এই শিল্পের সাথে জড়িত ২ লাখ পরিবার রয়েছে মহাসঙ্কটে। সকল প্রকাশক তাকিয়ে আছেন বইমেলার দিকে। বই মেলার স্টলভাড়া, সাজসজ্জা বাবত যে টাকা খরচ হয়, সেটাও জোগাড় করা অনেকের পক্ষে কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাই এবার প্রকাশকরা বই মেলার স্টলভাড়া মওকুপ চেয়েছেন। আসন্ন ২০২১ সালের বইমেলায় যদি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে তাহলে ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটিয়ে ওঠার একটা সুযোগ মিলতে পারে। সেজন্যই সরকারের কাছে তারা স্টল ভাড়া মওকুফ চেয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন, করোনা পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক হয় তাহলে বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে। তা নাহলে বাতিল হতে পারে। এক্ষেত্রে প্রকাশকরাও রয়েছেন সংশয়ের দোলাচলে। বাংলাএকাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী বলেছেন, বইমেলার সার্বিক প্রস্ততি চলছে। যদি মন্ত্রণালয় স্টল ভাড়া মওকুপের বিষয়টি বিবেচনা করে তবে অবশ্যই প্রকাশকদের উপকার হবে। আমরাও সে চেষ্টাই করছি। তবে এটা আমাদের এখতিয়ারে নেই। বাংলাদেশ সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশক সমিতি ইতিমধ্যে সরকারের কাছে ন্যুনতম ভাড়ায় স্টল বরাদ্দ, স্বাস্থবিধি মেনে স্টল নির্মাণ, মাস্ক বাধ্যতামূলক, পাইরেটেড বইয়ের বিরুদ্ধে আইনতব্যস্থা গ্রহণ সম্বলিত ১২ দফা দাবি পেশ করে বাংলাএকাডেমির গ্রন্থমেলা পরিচালনা কমিটির কাছে।