রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবারো ভাঙচুর ও অগ্নি-সংযোগ করছে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা।
তাতে জাতীয় পার্টির প্রধান কার্যালয়ের পাঁচতলা ভবনের নিচের দুটি তলা অনেকটা পুড়ে গেছে।
‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ আখ্যা দিয়ে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবিতে শুক্রবার বিকালে শাহবাগ মোড়ে সংহতি সমাবেশ আয়োজন করেছিল গণঅধিকার পরিষদ। সেই সমাবেশ শেষ করে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যান দলটির নেতাকর্মীরা।
আগে থেকেই সেখানে অবস্থান নিয়ে থাকা পুলিশের ব্যারিকেড উপেক্ষা করে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে ভাংচুর চালিয়ে তারা আগুন ধরিয়ে দেন।
তারা জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে অফিসের সামনে উপস্থিত হয়ে,পুলিশের বাধা অতিক্রম পুলিশকে না মেনে তারা জাতীয় পার্টির অফিসে ঢুকে যায়। কিছুক্ষণ পরে নিচে আগুন লাগায়।”
সুত্র বলছে – লাইব্রেরি, নামাজ ঘরসহ পাঁচতলা ভবনের সবকিছুই পুড়িয়ে দিয়েছে। চেয়ারম্যানের দপ্তরসহ সব পুড়িয়েছে।”
এর আগে গত ৩০ অগাস্ট সন্ধ্যায় ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল যাওয়ার সময় সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক মশাল মিছিলের ডাক দেয় গণঅধিকার পরিষদ। রাত সাড়ে ৯টায় মশাল মিছিল কর্মসূচি শেষে বিজয়নগর এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রেস ব্রিফিং করতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাঠিপেটা করে। তাতে আহত হন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
ওই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ওই ঘটনার নিন্দা জানায়।
পরদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় নুরের দলের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন স্থানে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়।
হামলার ওই ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আর আইএসপিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘শান্তিপূর্ণ সমাধানের সব চেষ্টা অগ্রাহ্য’ হওয়ার পর সেনাবাহিনী সেদিন ‘মব ভায়োলেন্স’ ঠেকানোর জন্য বল প্রয়োগে বাধ্য হয়।



