Saturday,7,December,2024
21 C
Dhaka
Saturday, December 7, 2024
Homeজাতীয়ট্রেনের প্রতি টিকিটের জন্য একসঙ্গে হিট প্রায় সাড়ে সাতশ

ট্রেনের প্রতি টিকিটের জন্য একসঙ্গে হিট প্রায় সাড়ে সাতশ

নতুন কথা ডেস্ক: বছরের দুই ঈদে গড়ে আড়াই লাখ যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্য থাকে বাংলাদেশ রেলওয়ের। পাশাপাশি আসনের বাইরে টিকিটে বাড়ি ফেরে আরও এক লাখ যাত্রী। কিন্তু এবার দৈনিক মাত্র কয়েক হাজার টিকিট দিচ্ছে রেলওয়ে। ফলে টিকিট নিয়ে রীতিমতো হাহাকার বইছে বাড়ি ফিরতে চাওয়া রাজধানীবাসীর মধ্যে। অ্যাপ ও সাইট মিলিয়ে এক টিকিটের জন্য একসঙ্গে হিট করছেন সাড়ে সাতশ জনের মতো।

জানা গেছে, অ্যাপে হিট পড়ছে একসঙ্গে ৪শ’র কাছাকাছি, সাইটে ৩৮০ জনের মতো। যে কারণে অনেক ক্ষেত্রেই রেলসেবার অ্যাপে কেউ কেউ লোড সংক্রান্ত ঝামেলায় পড়ছেন।

করোনা মহামারির কারণে বর্তমানে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে মাত্র ১৭ জোড়া ট্রেন চলাচল করছে সারাদেশে। ঈদ উপলক্ষে বাড়তি কোনও ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়নি। কিন্তু দেশের অনেক জেলার মানুষ শুধু রেলেই নির্ভর করে। তাই রেলের টিকিটের চাহিদা সবসময়ই বেশি থাকে। তবে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সূজন বলেন, ‘আমরা করোনা পরিস্থিতিতে বাড়ি যাওয়াকে নিরুৎসাহিত করছি। তাই লোকসান হওয়া সত্ত্বেও বাড়তি আয়োজন রাখা হয়নি। সীমিত পরিসরে যেভাবে রেল চলছে, সেভাবেই ঈদেও চলবে।’

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে বর্তমানে চলমান সকল ট্রেনের টিকিট বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু টিকিট কেনার জন্য পরিমাণের কয়েকগুণ বেশি মানুষ চেষ্টা করছেন প্রতিদিন। ফলে নিরাশ হওয়া মানুষের সংখ্যাই বেশি হচ্ছে। ধারণক্ষমতার বেশি লোক একসঙ্গে টিকিট কেনার চেষ্টা করায় একদিকে সার্ভার জ্যাম হচ্ছে, অন্যদিকে মাত্র কয়েক মিনিটেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে সকল টিকিট।

এতে অ্যাপ ও অনলাইনে রিলোড নিচ্ছে বেশি, তাই ভোগান্তির অভিযোগ করছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। যদিও এ বিষয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, অনলাইনে সব টিকিট বিক্রি হওয়ায় এবং একই সময়ে সবাই চেষ্টা করছেন বলে এই সমস্যায় কেউ কেউ হয়তো পড়ছেন। কিন্তু এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় বা রেলওয়ে এখন পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পায়নি।

বাংলাদেশ রেলওয়ে’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মিয়া জাহান বলেন, ‘প্রতিবছর প্রতি ঈদে ৩ লাখের বেশি মানুষ ট্রেনে ঢাকা ছাড়েন। এবার মাত্র ১৭ জোড়া রেল চলছে, তাও অর্ধেক যাত্রী নিয়ে। স্বাভাবিকভাবে টিকিট কেনার জন্য টিকিটপ্রত্যাশীদের চাপ থাকবে। তবে আমরা এখনো জনগণকে বলবো, ঈদে বাড়ি যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ এতে সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়তে পারে।’

সাইট বা অ্যাপের জটিলতা নিয়ে এই রেল কর্মকর্তা বলেন, ‘শুধুমাত্র ২৪ জুলাই একটি প্রতিষ্ঠানের টাকা পরিশোধ করা নিয়ে বিলম্ব হয়েছিল, পরে এই সমস্যা তারা সমাধান করেছিল। ওদিন অ্যাপ কিছুটা ধীরে কাজ করেছিল, কারণ অনেকে একসঙ্গে হিট করেছিল। এরপর গত কয়েকদিন অ্যাপ বা সাইট হ্যাং হওয়ার কোনও ঘটনাও ঘটেনি।’

সর্বশেষ