নতুন কথা রিপোর্ট : “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ’ই হচ্ছে না কেবল, এর প্রয়োগেও বৈষম্য করা হচ্ছে।” আইনের উদ্দেশ্য হিসাবে নারীর সুরক্ষা, রাষ্ট্রের সুরক্ষার কথা বলা হলেও প্রতিদিন ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীর অধিকার ও নারীনীতির বিরুদ্ধাচারণ করে যেসব বক্তব্য প্রচার হচ্ছে সেসব ক্ষেত্রে ডিজিটাল আইনের কোন প্রয়োগ দেখা যায় না। প্রয়োগ দেখা যায় না জাতীয় সঙ্গীতের বিকৃতিকরণ, এমনকি জাতির পিতার ভাস্কর্য্য নিয়ে বিদ্বেষমুলক, ধর্মীয় উস্কানিমুলক যেসব বক্তব্য প্রচার হচ্ছে তার বিরুদ্ধে। সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ, যৌন অপরাধ বেড়েই চলেছে। নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন না হলে নারী সমধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না।’
৬ মার্চ শনিবার বিকেল তোপখানা রোডে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ নারী মুক্তি সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি জননেতা কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি একথা বলেন।
সভায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে মেনন বলেন, কারাগারে মুশতাকের মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী এই আইন পর্যালোচনার কথা বলেছেন। ওয়ার্কার্স পার্টিও এই আইনের পর্যালোচনা করে আইনটি পরিপূর্ণ বাতিল বা তার নিপীড়নমুলক ধারাসমূহ প্রত্যাহারের কথা বলেছে। কারাগারে লেখক মুশতাকের মৃত্যু বা কারা হেফাজতে কার্টুনিষ্ট কিশোরের নির্যাতনের ঘটনাকে স্বাভাবিক বলে মেনে নেয়া যায় না। মেজর সিনহার মৃত্যু যেমন ‘ক্রস ফায়ার’ পরিপূর্ণ না হলেও তার নির্বিচার প্রয়োগ বন্ধ করেছে, তেমনি মুশতাকের মৃত্যু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে বিতর্ক-বিভ্রান্তি দূর করে স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে বলেই আমরা আশা করি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য হাজেরা সুলতানা । বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড মোস্তফা আলমগীর রতন, বাংলাদেশ নারী মুক্তি সংসদের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. জোবায়েদা পারভীন, কেন্দ্রীয় নেত্রী চন্দনা দে, নারী মুক্তি সংসদের নেত্রী বিপাশা চক্রবর্তী, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক অতুলন দাস আলো। সভা পরিচালনা করেন নারী মুক্তি সংসদের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শিউলি শিকদার।