রংপুর সংবাদাতা ॥ তিস্তার পানি চুক্তি না হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তিস্তা অববাহিকার বাসিন্দারা। শুধু নদীভাঙনের কারণেই উত্তরের পাঁচ জেলায় প্রতিবছর ১ লাখ কোটি টাকার বেশি সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। এতে ২ কোটি মানুষের জীবনে নেমে এসেছে মহাদুর্যোগ। এই দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচানোর দাবি জানিয়েছে তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের নেতারা।
সম্প্রতি রংপুর নগরীতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নেতারা এ দাবি করে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ, আন্তঃদেশীয় ব্যবস্থাপনায় তিস্তা চুক্তি সই, অববাহিকাভিত্তিক নদী ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা, পানির প্রবাহ বাড়াতে ব্যাপক খনন এবং ভাঙনরোধে কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
নগরীর একটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শুষ্ক মৌসুমে তিস্তার পানি প্রত্যাহারের কারণে নদীটির শাখা-প্রশাখা ও উপনদীগুলো ভরাট, দখল ও তিস্তার সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পরিণতিতে ভূগর্ভস্থ পানির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় টান পড়েছে ভূগর্ভস্থ উৎসে। নদীর পানির চাপ না থাকায় সাগরের নোনাপানি দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে পড়ে ওই অঞ্চলের মৎস্য চাষ, ফসল আবাদ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে ফেলছে। তিস্তা নদীর ভাঙনরোধে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ধাপে ধাপে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে তিস্তা মহাপরিকল্পনা কাজের উদ্বোধনসহ ছয় দফা দাবিতে সেপ্টেম্বর মাসব্যাপী তিস্তা তীরের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা শহরে প্রচারপত্র বিলি, হাট সভা, পথসভা ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন পরিষদের নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান, সদস্য বখতিয়ার হোসেন শিশির, আকতারুজ্জামান, জাসদ নেতা সাখাওয়াত হোসেন রাঙ্গা, রংপুর জেলা ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক অশোক সরকার প্রমুখ।