নতুন কথা ডেস্ক : বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ সোমবার (০৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বলেন, বাজারের দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান সম্পর্কে পূর্বে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলাম। আর সেটাই এখন প্রতীয়মান হচ্ছে সরকারের ঘোষিত বার বার মূল্যবৃদ্ধি নির্ধারণ। সম্প্রতি টিসিবি’র সামগ্রীরও মূল্যবৃদ্ধি করেছে। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, দেশে বর্তমানে বেকার সমস্যা অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। পাট ও চিনিকল বন্ধ করে বেকারত্ব ও কর্মহীন মানুষের সংখ্যা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এমতাবস্থায় নিত্যপণ্য মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা অনৈতিক অমানবিক। আমরা আরও একটি বিষয় লক্ষ্য করে ব্যথিত হচ্ছি যে, পূর্বে পবিত্র মাহে রমযানে পর্যাপ্ত পরিমাণে টিসিবির পণ্য প্রদান করা হতো, কিন্তু এবার রমযানে প্রদানের ক্ষেত্র, পরিমাণ কমিয়ে দেয়া হয়েছে এবং মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা শ্রমিক-কৃষক-খেটে খাওয়া মানুষ এবং নি¤œ ও মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য পূর্ণ রেশনিং ব্যবস্থা প্রবর্তনের কথা বার বার বলেছি। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দেশে বর্তমানে খাদ্য ঘাটতি প্রায় শূন্যের কোটায়, যার জন্য কৃষকদের অবদান অপরিসীম। অথচ বাজারে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। যদি দেশে রেশনিং ব্যবস্থা চালু থাকে তাহলে সরকারের খাদ্যপণ্যের সঠিক হিসাব থাকবে ও কালোবাজার রোধ হবে। এতে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট গড়ে উঠতে পারবে না। এমতাবস্থায় অবিলম্বে পূর্ণ রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এছাড়া বর্তমানে করোনার ২য় ঢেউ আসার পর সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারকে পুনরায় লকডাউন দিতে হয়েছে। নেতৃবৃন্দ এই লকডাউনে শ্রমজীবী অসহায় গরীব মানুষদের খাদ্য সহায়তা প্রদানেরও দাবি জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেনÑওয়ার্কার্স পার্টি খুলনা জেলা সভাপতি কমরেড এড. মিনা মিজানুর রহমান, মহানগর সভাপতি কমরেড শেখ মফিদুল ইসলাম, জেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনসার আলী মোল্লা, মহানগর সাধারণ সম্পাদক কমরেড এস এম ফারুখ-উল ইসলাম, জেলা ও মহানগর সম্পাদকম-লীর সদস্য কমরেড দেলোয়ার উদ্দিন দিলু, কমরেড গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায়, কমরেড শেখ মিজানুর রহমান, কমরেড মনির আহমেদ, কমরেড খলিলুর রহমান, কমরেড আব্দুস সাত্তার মোল্লা, কমরেড নারায়ণ সাহা, কমরেড আমিরুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য শেখ সাহিদুর রহমান, কমরেড মনিরুজ্জামান, কমরেড সন্দীপন রায়, কমরেড রেজাউল করিম খোকন, কমরেড আঃ হামিদ মোড়ল, কমরেড কৌশিক দে বাপী, কমরেড মোঃ আলাউদ্দিন, কমরেড মনির হোসেন, কমরেড বাবুল আখতার, কমরেড আরিফুর রহমান বিপ্লব, কমরেড অজয় দে, কমরেড এড. কামরুল হোসেন জোয়ার্দ্দার, কমরেড হাফিজুর রহমান, কমরেড গৌরী ম-ল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।