নাটোর প্রতিনিধি : নাটোর-বগুড়া মহাসড়ক সম্প্রসারণ কাজে সড়কের পাশ থেকেই মাটি তুলে চুক্তির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনকে আমলে নিয়ে রোববার (১৪ জুন) স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন নাটোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদের আদালত।
আদালতের বরাত দিয়ে নাটোর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গণমাধ্যমের সংবাদ বিশ্লেষণ করে আদালতের কাছে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, নাটোর-বগুড়া মহাসড়ক সম্প্রসারণ কাজে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অন্য স্থান থেকে মাটি আনার কথা থাকলেও, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কের পাশে গর্ত খুঁড়ে মাটি তুলেছে। এর মাধ্যমে তারা সরকারি সড়কের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিসাধন করেছে। দণ্ডবিধির ৪৩১ ধারা অনুযায়ী এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ছাড়া, ঠিকাদাররা সরকারি অর্থ আত্মসাতের জন্য কার্যাদেশের শর্ত লঙ্ঘন করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ তথা সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে (পক্ষান্তরে সরকারের সঙ্গেই) প্রতারণা করেছে। দণ্ডবিধির ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় এটি দণ্ডনীয় অপরাধ।’
নাটোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বিশেষ পুলিশ সুপারকে মামলাটি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
অপরাধটি কাদের মাধ্যমে সংঘটিত হচ্ছে, তা প্রাথমিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে নিরূপণ করে আসামিদের শনাক্ত করা, সাক্ষীদের জবানবন্দী গ্রহণ, ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র প্রস্তুত এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সব নথি জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া, সরকারি রাস্তার পাশ থেকে কত ঘনফুট মাটি তোলা হয়েছে এবং তাতে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রথম আলো ও একাত্তর টেলিভিশনের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের জবানবন্দি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া, নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলীকে তদন্ত কাজে সার্বিক সহযোগিতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।