বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন জেষ্ঠ নারী সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নির্যাতন, নিগ্রহ ও মামলার ব্যাপারে ¯^াস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে অনিভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন। মেনন বলেন, সরকারের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয় ডকুমেন্ট বা ফাইল কোন একান্ত সচিবের টেবিলে অরক্ষিত অবস্থায় পরে থাকে না। এটা হয়ে থাকলে সেটা বরং মন্ত্রণালয়েরই অযোগ্যতা ও ব্যর্থতা। মন্ত্রী প্রকারান্তরে দেশে দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী-আমলাদের যে অশুভ আঁতাত গড়ে উঠেছে তার পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন। অথচ দেশবাসী জানে এই করোনাকালে সরকারী অর্থ নিয়ে ¯^াস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কি পরিমাণ দুর্নীতি আর লুটপাট হয়েছে। আর রোজিনা ইসলাম সেই সত্যকে তার অনুসন্ধিৎসু রিপোর্টের মাধ্যমে তুলে ধরছিলেন।
আর এ কারণেই তাঁকে ¯^াস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের আক্রোশের শিকারে পরিনত হতে হয়েছে। মেনন সংবাদপত্র ও সাংবাদিকের ¯^াধীনতা ও পেশাগত অধিকার অক্ষুণ রাখতে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও তাকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি একই সাথে যে সকল আমলা-কর্মচারীরা তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেছে তাদেরও শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, ঐ আমলাদের দিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি ও তার টার্মস এ্যান্ড রেফারেন্সও অগ্রহণযোগ্য। ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে কমরেড রাশেদ খান মেনন সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ের কক্ষে আটকে রেখে নির্যাতন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের ও কারাগারে প্রেরণের নিন্দা জানান। ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টি প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক কমরেড কিশোর রায়, বিশিষ্ট আইনজীবী জোবায়দা পারভীন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড জাকির হোসেন রাজু, কমরেড মোস্তফা আলমগীর রতন, গৃহশ্রমিক নেত্রী মুর্শিদা আখতার নাহার, নারীমুক্তি সংসদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শিউলী সিকদার, যুবনেতা মোতাসিম বিল্লাহ সানি, বিশিষ্ট সাংবাদিক হুমায়ুন মুজিব, ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি কাজী আব্দুল মোতালেব জুয়েল, সংহতি বক্তব্য রাখেন গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মিনহাজ উদ্দিন সেলিম প্রমুখ।