“ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দুর্নীতির মামলায় পূর্ণ ক্ষমার আবেদন ঘিরে তেল আবিবে প্রেসিডেন্ট আইজাক হারজগের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। রবিবার রাতে কয়েক শ মানুষ রাস্তায় নেমে নেতানিয়াহুর আবেদন প্রত্যাখ্যানের দাবি জানান”
নেতানিয়াহু (৭৬) পাঁচ বছর ধরে তিনটি পৃথক দুর্নীতির মামলায় বিচারাধীন। রবিবার তিনি দোষ স্বীকার বা অনুশোচনা ছাড়াই প্রেসিডেন্টের কাছে পূর্ণ ক্ষমা চান। তার এই উদ্যোগের পরই বিরোধীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। মামলাগুলোর একটিতে নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রী সারার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ধনকুবেরদের কাছ থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার ডলারের বেশি দামের সিগার, অলংকার ও শ্যাম্পেন নেওয়ার বিনিময়ে রাজনৈতিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অন্য দুটি মামলায় মিডিয়ার অনুকূল কভারেজের জন্য চুক্তির চেষ্টা করার অভিযোগ আছে। নেতানিয়াহু সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার আইনজীবীরা প্রেসিডেন্ট দফতরে পাঠানো ১১১ পৃষ্ঠার চিঠিতে বলেন, তিনি এখনও মনে করেন শেষ পর্যন্ত তিনি পুরোপুরি খালাস পাবেন।
দেশে মামলার বাইরেও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। ২০২৪ সালের নভেম্বর গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়। ইসরায়েলের গাজায় হামলায় ৭০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও প্রায় ১ লাখ ৭১ হাজার আহত হয়েছে। অধিকাংশই নারী ও শিশু। ইসরায়েলে সাধারণত রায় ঘোষণার পর এবং দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরই ক্ষমা করা হয়। তাই নেতানিয়াহুর আবেদন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেন, নেতানিয়াহু এখন ইসরায়েলের জন্য বোঝা। নেতানিয়াহুর অধীনে ইসরায়েলের গণতান্ত্রিক কাঠামো দুর্বল হয়েছে। আগে সুপ্রিম কোর্টসহ বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে তার অবস্থানই দেশে ব্যাপক আন্দোলনের জন্ম দেয়। পাশাপাশি তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ও আন্তর্জাতিক আদালতে চলমান গণহত্যা বিষয়ক মামলার মূল আসামি।
সুত্র- আল জাজিরা



