Site icon নতুন কথা

পাটকল বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দেওয়ার খবরে ক্ষোভ

JUte_Suger

নতুন কথা রিপোর্ট : পাট-সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সভায় পাটকল বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির খবরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, অতীতে যে ৩৯টি পাটকল বেসরকারি করণ করা হয়েছিল তার ২৯টিই বন্ধ। এসব পাটকলের রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুটপাট করা হয়েছে। বেসরকারিখাতে চালু থাকা পাটকলে শ্রম আইন মানা হয় না। এমনকি শ্রমিক কর্মচারিরা বাচার মত মজুরি পান না। নতুন করে বেসরকারিকরণের অর্থ হলো রাষ্ট্রের সম্পত্তি পছন্দমত কিছু ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া। এই লুটপাট দেশবাসী সহ্য করবে না।
সভায় আধুনিকায়ন করে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল-চিনিকল চালুর দাবীতে ১৬ মার্চ দেশের সকল পাট-চিনিকল এলাকায় অবস্থান ও ঢাকায় সংহতি সমাবেশ সফল করতে সচেতন দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান হয়।
আজ ৮মার্চ বেলা ১২টায় ৩১/এফ, তোপখানা রোডে সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক প্রবীণ শ্রমিক নেতা সহিদুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় যুগ্ম আহ্বায়ক প্রবীণ শ্রমিক নেতা লুতফর রহমান, কামরূল আহসান, কাজী রুহুল আমিন, আনোয়ার আলী, শরীফুজ্জামান শরিফ, কিশোর রায় ও আমন্ত্রিত হিসাবে রুহিন হোসেন প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বদলি শ্রমিকসহ সকল শ্রমিক-কর্মচারির সমুদয় বকেয়া পাওনা পরিষদের দাবী জানানো হয়। সভায় বলা হয়, রাষ্ট্রায়ত্ত খাত মুক্তিযুদ্ধের অর্জন। দেশের এই রাষ্ট্রায়ত্ত খাত বন্ধ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষা করা যাবে না। এইখাত ধ্বংস করার অর্থ হলো দেশকে পাকিস্তানী ধারায় নিয়ে যাওয়া।
সভায় বলা হয় পাটকল, চিনিকল লোকসানের জন্য শ্রমিক-কর্মচারিরা দায়ী নয়। অথচ তাদের চাকুরিচ্যুত করা হলো। এসব শ্রমিকের অধিকাংশ এখন মানবেতর জীবন যাপন করেছে। বিভিন্ন সরকারের সময় মাথাভারী প্রশাসন, ‘দূর্নীতি ও ভুলনীতির’ কারণে এসব কলকারখানা যথাযথ উৎপাদন করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে নি। এর সাথে জড়িতরা এখনো চাকুরিতে বহাল আছে।
সভায় ‘দূর্নীতি ও ভুলনীতির’ সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবী করা হয়।

Exit mobile version