টেক ডেস্ক : ফ্রিল্যান্সাররা যেনো সহজে নিজেদের উপার্জিত অর্থ পেতে পারে সে জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে মানুষ অর্থ উপার্জন করছে ঘরে বসে, গ্রামে বসে। কিন্তু এর কোনো আসলে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি ছিলো না। আর প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতিটা না থাকার কারণে এ যে তারা অর্থ উপার্জন করছে, অনেক সময় তাদের নানারকম প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় অথবা ব্যাংকেও নানা প্রশ্ন করে।’‘এটা নিয়ে অবশ্য আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করেছি, অর্থ সচিবের সঙ্গেও আলোচনা করেছি যেন এই অসুবিধাটা আর না হয় সে ব্যবস্থা তারা ইতোমধ্যেই নেবে’ বলছিলেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘আজকে এই ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড প্রদানের জন্য একটা ওয়েব পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে, যা থেকে সকল ফ্রিল্যান্সার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবে। এতে ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক পরিচিতি তৈরির পাশপাশি ব্যাংক ঋণ পেতে পারবে এবং তাদের ক্ষমতায়নে সহযোগিতা করতে পারবে।’
‘এটাও একটা কাজ। এটাও এক ধরনের চাকরি। কিন্তু সেটা হচ্ছে নিজেই নিজের বস এবং শুধু বস না, আরও অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া, অন্যের বস হওয়া।’ বলছিলেন তিনি। অনুষ্ঠানে এর আগে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ফ্রিল্যান্সাররা যেন তাদের আইডি হতে ব্যাংকে তথ্য দিতে পারে এবং তখন ১০ শতাংশ ক্যাশ প্রণোদনা পায় সে দাবি রাখেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এছাড়া দেশে পেপ্যাল আনতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
২০২১ সালের মধ্যে দেশে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা ১০ লাখে উন্নীত করা লক্ষ্যের কথা উল্লেখ করে পলক বলেন, ‘২০১৪ সালে জয় ভাইয়ের নেতৃত্বে সিলিকন ভ্যালিতে প্রথমবার গিয়েছি, সেখানে পেপ্যালের সঙ্গে বৈঠক করেছি। দেশে ইতোমধ্যে পেওনিয়র, জুমসহ কয়েকটি প্লাটফর্ম আছে। কেওয়াইসিসহ বিভিন্ন সেবার ব্যবস্থা তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা করে দিয়েছেন’
গভর্নরকে নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী যেনো পেপ্যালের একটা ব্যবস্থা করে দেন এই আরজি জানান তিনি। অনুষ্ঠানে গণভবন হতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সচিব মো.তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।আর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়াম হতে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমসহ আরও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।