নতুন কথা প্রতিবেদন: আজ ১৩ মার্চ শনিবার সকাল ১১টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার হলে (দ্বিতীয় তলা, ঢাকা) মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে “বঙ্গবন্ধু ও চার মূলনীতি” শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ত্ব করেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি জননেতা কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি।
মূলপ্রবন্ধে ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল এর বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর চার মূলনীতি এখন হারানো দিনের গান। ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে বলেন, বাংলাদেশ হবে একটি আদর্শ রাষ্ট্র, ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র হবে না। রাষ্ট্রের ভিত্তি হবে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্ম নিরপেক্ষতা। পরে জাতীয়তাবাদ যুক্ত করে চার মূলনীতি নীতি নির্ধারন করা হয়। তিনি বলেন, একদিকে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম, অপর দিকে ধর্ম নিরপেক্ষতা একসাথে যায় না। রাষ্ট্রের কোন ধর্ম থাকতে পারেনা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সমাজতন্ত্র বলতে শোষণহীন সমাজের কথা বলেছেন। বাইরে থেকে আরোপিত সমাজতন্ত্র নয়, দেশের মধ্য থেকেই এই সমাজতন্ত্রের উদ্ভব হবে। তিনি গণতন্ত্রের সজ্ঞায়িত করেন শোষিতের গণতন্ত্র হিসেবে। আর অন্যদিকে জাতীয়তাবাদকে বাঙালীর অনুভূতির প্রকাশ বলে বলেছেন। আমরা জাতীতে বাঙালী, নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশী। সকল সংখ্যালঘু জাতিসত্ত্বার স্বীকৃতি দিয়েই বাঙালী জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটবে। তিনি বলেন, যাত্রার শুরুতে আলো থাকলেও এখন আমরা আলো আধারিতে রয়েছি। তিনি ২০১৯ সালে সরকার কর্তৃক প্রকাশিত ক্রোড়পত্রে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সম্পাদনা করা হয়েছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সম্পাদনার অধিকার কারোর নাই। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে তার এই রাষ্ট্র চিন্তাকেই অনুসরন করতে হবে।
সভাপতির সূচনা ভাষণে পার্টির সভাপতি জননেতা কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হয়েছে। কিন্তু চরম বৈষম্য উন্নয়নকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে নয়, তাকে বাধাগ্রস্থ করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন ধনী সৃষ্টির কারখানা কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেষদিন পর্যন্ত শ্রমিক-কৃষক মেহনতি মানুষের শোষন-বৈষম্যর অবসান ও তাদের হাসি ফুঁটাবার কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রচিন্তাকে অনুসরণ করলে বাংলাদেশ একটি আর্দশ রাষ্ট হতে পারে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পার্টির অন্যতম পলিটব্যুরো সদস্য কামরূল আহসান।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, সুশান্ত দাস, মাহামুদুল হাসান মানিক, হাজী বশিরুল আলমসহ কেন্দ্রীয় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সভা শেষে গণসাংস্কৃতিক মৈত্রীর স্বর্ণা স্বরণ, পার্থদেব বর্মন, অনিন্দ্য বিশ্বাস, স্বর্ণা রায়, সুস্মিতা রায় প্রমুখ শিল্পীরা আন্তর্জাতিক সঙ্গীত ও গণসংগীত পরিবেশন করেন।