Site icon নতুন কথা

বাড়ছে লকডাউনের সময়সীমা-নতুন প্রজ্ঞাপন জারি

নতুন কথা প্রতিবেদন: করোনার সংক্রামণ রোধে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৬ মে) থেকে চলমান বিধি-নিষেধের (লকডাউন) মেয়াদ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। বুধবার (৫ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে ‘লকডাউন’ তথা মানুষের চলাচলে বিধি-নিষেধ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার অভ্যন্তরে বাস চলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৫ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ‘করোনা ভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯)-এর বিস্তার রোধে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে বিধি-নিষেধের সময়সীমা বর্ধিতকরণ’ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।এতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধি-নিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় আগের শর্তে আগামী ৫ মে মধ্যরাত থেকে ১৬ মে মধ্যরাত পর্যন্ত এ বিধি-নিষেধ আরোপের সময়সীমা বর্ধিত করা হলো।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের বলা হয়েছে-

১. সব সরকারি আধা-সরকারি স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে ঈদের ছুটিতে আবশ্যিকভাবে স্ব স্ব কর্মস্থলে (অধিক্ষেত্রে) অবস্থান করবেন। 

২. দোকানপাট/ শপিংমল আগের মতো সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। সব দোকানপাট-শপিংমলে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় দোকানপাট শপিংমল তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেওয়া হবে। 

৩. আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে ৫ মের পর যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। উল্লেখ্য, ট্রেন, লঞ্চ চলাচল আগের তোই বন্ধ থাকবে।

৪. মাস্ক ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট রিচালনার মাধ্যমে আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

৫. জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক ও রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।

৬. কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন, জেলা সদর, পৌরসভা এলাকাসমূহে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন/পৌরসভা মাইকিংমহ ব্যাপক প্রচার প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। 

প্রজ্ঞাপনের কপি ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসক, উজেলা নির্বাহী কর্মাকর্তা, বিভাগীয় কমিশনারদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

Exit mobile version