নতুন কথা প্রতিবেদন: বায়ু দূষণে বিশ্বের শীর্ষ দশটি দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। আর শহর হিসেবে রাজধানী ঢাকা রয়েছে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর মধ্যে তৃতীয় স্থানে। বায়ু দূষণের কবলে বাড়ছে দেশের মৃত্যু হার- এ তথ্য উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউনিভার্সিটি অব কলাম্বিয়া ও হেলথ ইফেক্ট ইনস্টিটিউটে’র বিশ্ব বায়ু পরিস্থিতি-২০২০ শীর্ষক প্রতিবেদনে। গত ২১ অক্টোবর ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানাগেছে, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ু অঞ্চল হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও পাকিস্তানে বায়ু দূষণ দ্রæত বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি বাড়ছে ভারত ও বাংলাদেশে। শীর্ষ দশে থাকা বাংলাদেশের সাথে অন্য দেশগুলো হলো ভারত, নেপাল, নাইজার, কাতার, মিসর, নাইজেরিয়া, মৌরিতানিয়া, ক্যামেরুন ও পাকিস্তান।
অন্যদিকে এয়ার ভার্চ্যুয়াল পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী গত ২১ অক্টোবর শীর্ষ দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ছিল তৃতীয় স্থানে। প্রথম পাকিস্তানে লাহোর, দ্বিতীয় চীনের সাংহাই। ঢাকার পরে ছিল চীনের ইয়াশাই ও ভারতের দিল্লী এবং নেপালের কাঠমান্ডু।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে বায়ু দূষণের কারণে বিশ্বে মৃত্যুহার ক্রমেই বাড়ছে। বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে চতুর্থ কারণ হলো বায়ু দূষণ। ২০১৯ সালে দুনিয়ায় বায়ু দূষণের কারণে মার গেছে ৬৭ লাখ। এর মধ্যে বাংলাদেশে মারা গেছে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫০ জন। ভারতে মারা গেছে ১৬ লাখ ৭০ হাজার, পাকিস্তানে ২ লাখ ৩৫ হাজার, নেপালে ৪ হাজার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত অক্টোবর মাস থেকে ঢাকার বায়ুর মান দ্রæত খারাপ হতে থাকে। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত-এই তিন মাস সবচেয়ে বেশি খারাপ থাকে। বর্তমানে বর্ষাকালেই এই অবস্থা। বর্ষা বিদায় নিলে ঢাকার বায়ুর মান আরো খারাপ হবে। খারাপ অবস্থা হবে সারা দেশেও। সুতরাং শুষ্ক মৌসুম শুরুর আগেই বায়ু দূষণরোধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অবশ্য বায়ু দূষণ রোধে বাংলাদেশের উদ্যোগ ও পরিকল্পনার প্রশসংসা করা হয়েছে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে।