খেলা ডেস্ক: বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ পয়েন্টের খাতায় প্রথম আঁচড়টি দিয়েছিল ভারতের বিপক্ষে ড্র করে। কলকাতার সল্ট লেকে সেবার জয়ের পথে ছুটতে থাকা দল গোল হজম করেছিল শেষ মুহূর্তে। বাছাইয়ে ফের মুখোমুখি দুই দল। এবার বাংলাদেশ আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী। আফগানিস্তানকে রুখে দেওয়ার তৃপ্তিও টাটকা। বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূইয়াও জানালেন, ভারতের বিপক্ষে ‘বড় ম্যাচ’ থেকে পয়েন্ট চান তিনি।
২০১৯ সালের অক্টোবরে ভারতের মাঠ থেকে ১-১ ড্র নিয়ে ফিরেছিল বাংলাদেশ। ফিরতি লেগের ম্যাচটি জামাল-রাকিবদের খেলার কথা ছিল দেশের মাঠে। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে খেলতে হচ্ছে কাতারে। চেনা দর্শকের সামনে খেলতে না পাওয়ার আক্ষেপও যেন পরোক্ষভাবে জানিয়ে দিলেন অধিনায়ক।
“আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে আমাদের বড় ম্যাচ আছে। আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আমরা সবাই এই ম্যাচের জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। সবাই ম্যাচটির জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত।”
“বাংলাদেশের যারা কাতারে আছেন, তারা দয়া করে মাঠে আসুন। আমাদেরকে সমর্থন করুন। আপনাদের সমর্থন আমাদের প্রয়োজন। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আশা করি, ভালো ফল এনে দিতে পারব আমরা।”
বাছাইয়ের ‘কাতার পর্ব’ বাংলাদেশ শুরু করেছে তৃপ্তি নিয়ে। পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ড্র করে জেমি ডের দল। তপু বর্মনের গোলের নেপথ্যের কারিগর রিয়াদুল হাসান রাফি জানালেন, ভারতের বিপক্ষে রক্ষণ জমাট রাখার দায়িত্বটুকু নিখুঁতভাবে পালন করতে হবে।
“ভারতের বিপক্ষে ইতোমধ্যে খেলেছি। ওরা কিভাবে আক্রমণে ওঠে, তা নিয়ে মোটামুটি অভিজ্ঞতা আছে। সল্ট লেকের ওই ম্যাচে আমি নিজেও খেলেছি। ওরা কীভাবে অ্যাটাকিং জোনে আসে, আক্রমণ করে, সুনিল ছেত্রীকে কিভাবে পাহারায় রাখা হবে, এ নিয়ে কোচ কথা বলেছেন। ওটা নিয়ে কাজ করছি। যদি রক্ষণে ভালো করতে পারি, ইনশাল্লাহ দলও ভালো করতে পারবে।”
সতীর্থদের সুরে সুর মিলিয়েছেন রাকিবও। চট্টগ্রাম আবাহনীর এই উইঙ্গারও দিলেন সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি।
“গত ম্যাচে সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ভারতের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পেলে সর্বোচ্চটার চেয়েও বেশি দেওয়ার চেষ্টা করব। ওদের বিপক্ষে ম্যাচ হলে আমাদের মধ্যে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। আমরা চাই, ওদের বিপক্ষে ভালো খেলে পয়েন্ট পেতে।”