“নির্বাচনের আগেই নির্বাচন নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় মার্কিনীরা ভিসানীতি প্রয়োগ করেছে। এটা যেন ঝিকে মেরে বউকে শেখানোর শামিল। তাদের আসল লক্ষ্য সরকারকে ভয় দেখানো। সরকার যাতে তাদের কাছে নতজানু হয়, তাদের ইন্দোপ্যাসিফিক নীতি মেনে নেয়, বঙ্গোপসাগরে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে। কিন্তু এদেশের মানুষকে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়ে ভয় দেখানো যায়নি। এই মানুষই মুক্তিযুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেনে। এবারো কারো হুকুম জারিতে নয়, এদেশের জনগণ শান্তিপূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করবে।”- বললেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন।
তিনি আজ নাটোরের লালপুরে আখচাষী নেতা শহীদ কমরেড আব্দুস সালামের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।গোপলপুর রেলগেটের কড়ই তলায় অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে নাটোর জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড অধ্যক্ষ ইব্রাহীম খলিলের সভাপতিত্বে কমরেড রাশেদ খান মেনন আরো বলেন,“ আখচাষীদের মৌলিক অধিকারে মিল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন কোনোভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। আখচাষীদের আখ বিক্রির বকেয়া দ্রুত ফিরিয়ে দিতে হবে। চিনিকলকে আধুনিকীকরণ ও বহুমুখীকরণের মাধ্যমে চিনি উৎপাদন করলে চিনিকলও কেরু এন্ড কং এর মতো লাভজনক হবে।”
শহীদ কমরেড আব্দুস সালামকে স্মরণ করে রাশেদ খান মেনন আরো বলেন,“ কমরেড আব্দুস সালাম ছিলেন আখচাষীদের প্রাণের নেতা, শ্রমজীবী মানুষের নেতা। ওয়ার্কার্স পার্টির সর্বস্তরের কমরেডদের তার অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।”
উত্তরবঙ্গ চিনিকল আখচাষী সমিতি, জাতীয় কৃষক সমিতি ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি লালপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এই স¥রণ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড নুর আহমদ বকুল, কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড পিয়ারুল ইসলাম, কমরেড এ্যাড. লোকমান হোসেন বাদল, কমরেড মিজানুর রহমান মিজান, কৃষক নেতা আব্দুল করিম, শ্রমিক নেতা মিজানুর রহমান মিজান, কৃষক নেতা মতিউর রহমান তপন, শহীদ আব্দুস সালামের ছোট ভাই শ্রমিক নেতা আবুল কালাম আজাদ। সঞ্চালনা করেন কমরেড আব্দুস সামাদ।