নতুন কথা প্রতিবেদন:বাংলাদেশের রিজার্ভ তহবিলের প্রধান উৎস হলো রেমিটেন্স। প্রবাসীদের পাঠানো এই রেমিট্যান্স দেশের বার্ষিক রিজার্ভ বৃদ্ধি করে। কিন্তু করোনায় বৈশি^ক দুর্যোগে জনশক্তি রপ্তানিতে ধ্বস নামায় রেমিট্যান্সের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা।
‘মড়ার ওপর খাড়ার ঘা’ হয়ে গত ৬ মাসে প্রায় লক্ষাধিক প্রবাসী দেশে ফিরে এসেছেন। প্রবাসেও কাজ নেই এমন অসহায় অবস্থায় রয়েছেন প্রায় লক্ষাধিক শ্রমিক। এর বাইরে এ বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত লক্ষাধিক শ্রমিক যারা ছুটিতে এসেছিলেন তারাও আটকা পড়েছেন। দেশের অর্থনীতির প্রাণ ভোমরার অন্যতম এই জনশক্তি খাতটি সত্যিকার অর্থে এক দুঃসময় পার করছে। পরিস্থিতির সহসা উন্নতি না হলে আরো বড় ধরনের ধ্বস নামার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অবশ্য সঙ্কট থেকে বের হতে বিকল্প শ্রমবাজার খুঁজতে শুরু করেছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। পূর্ব ইউরোপ এবং এশিয়ায় অন্তত দু’টি বাজার খোঁজার চেষ্টায় রত তারা। তবে এখন পর্যন্ত কোনো চেষ্টাই ফলপ্রসু বলে মনে হচ্ছে না। উল্লেখ্য বিশে^র ১৬০ দেশে বাংলাদেশ শ্রমিক প্রেরণ করে। সৌদি আরব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। এর পরের অবস্থান ওমান, কাতার, জর্ডান, কুয়েত। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরও বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় বাজার হয়ে উঠছে। করোনার থাবায় রীতিমতো মুখথুবড়ে পড়েছে সার্বিক শ্রমবাজার। ২০১৯ সালে ৭ লাখের বেশি চাকুরি নিয়ে গেছেন বিভিন্ন দেশে। এর মধ্যে ৪ লাখই সৌদি আরবে। চলতি বছর ১০ লাখ কর্মী পাঠানোর লক্ষ্য থাকলেও পাঠানো হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৮১ হাজার। এর পর থেকেই কনোনার কারণে শ্রমিক পাঠানো বন্ধ। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে আসার সাথে সাথে সরকারকে নতুন বাজার সৃষ্টিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। আফ্রিকা, জাপান, কানাডা ও ইটালিতে কৃষি ক্ষেত্রে প্রচুর জনশক্তি রপবতানির সুযোগ আছে। সে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।