নতুন কথা রিপোর্ট : জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন ও আখ চাষি ও চিনিকল রক্ষা পরিষদ ময়মনসিংহের যৌথ উদ্যোগে জেলা প্রশাসক ময়মনসিংহের স্মারকলিপি বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল বন্ধ না করে আধুনিকায়ণ ও বহুমুখীকরণের মাধ্যমে চিনি কল ও আখ চাষিদের রক্ষার জন্য একটি এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড ডাক্তার ডি এস মজুমদার (খোকন), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড সুজিত বর্মন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, ত্রিশাল উপজেলা কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ নিতাই চন্দ্র রায় এবং ত্রিশাল উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড রাধা রমন মোদক।
এ সময় কৃষিবিদ নিতাই চন্দ্র রায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, চিনি শিল্প বাংলাদেশের একমাত্র কৃষি ভিত্তিক ভারী শিল্প। এ্ শিল্পের সাথে হাজার শ্রমিক কর্মচারী এবং ৫ লাখ কৃষকের জীবন-জীবিকা জড়িত।সরকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ করে ৬টি চিনি কল বন্ধ ঘোষণা করে এবং আগামী বছর আরও ২টি চিনি কল বন্ধের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। আখ চাষি ও মিল শ্রমিকদের স্বার্থে ১৯৭২ সালে এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে চিনিকলগুলি জাতীয় করণ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে জন্ম শতবর্ষে ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে সরকার চিনিকল বন্ধের মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি , কৃষক ও শ্রমিক স্বার্থ পরিপন্থি এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সরকারি চিনিকলগুলি বন্ধ হলে একদিকে যেমন শ্রমিক ও আখ চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, অন্যদিকে দিকে সয়াবিন তেলের মতো বেসরকারি চিনি পরিশোধনকারখানা মালিকদের এক চেটিয়া ব্যবসার কারণে চিনি দাম অনেক বেড় যাবে এবং ভোক্তাদেরকে ১০০ টাকার অধিক দামে প্রতি কেজি চিনি খেতে হবে। তাই আধুনিকায়ন ও পণ্যবহুমুখী করণের মাধ্যমে চিনি কলগুলিকে লাভজনক করে অবিলম্বে চালু করতে হবে।