ক্রিমিয়ার কৃষ্ণ সাগরে অবস্থিত রাশিয়ার নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছে বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। খবর বিবিসির।
ব্যবহারিক এবং প্রতীকী উভয় কারণেই রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর সদর দপ্তর ইউক্রেনের প্রধান লক্ষ্য। রাশিয়া কৃষ্ণ সাগরে তার নৌ-জাহাজ থেকে ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার ফলে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। তারা কৃষ্ণ সাগরে সামুদ্রিক শিপিং রুটগুলো অবরুদ্ধ করার হুমকিও দিয়েছে যা ইউক্রেন শস্য রপ্তানি করতে ব্যবহার করছে।
এমন আশঙ্কাও রয়েছে যে রাশিয়া সমুদ্র থেকে ইউক্রেনের দক্ষিণ ওডেসা এবং মাইকোলাইভ অঞ্চলে আক্রমণ করতে কৃষ্ণ সাগরের এই সদর দপ্তরে অবতরণকারী জাহাজ ব্যবহার করতে পারে।
তবে কৃষ্ণ সাগরের নৌবহরটিও এই অঞ্চলে রাশিয়ার শতাব্দী প্রাচীন সামরিক উপস্থিতির একটি প্রধান প্রতীক। রাশিয়া বারবার ক্রিমিয়ায় নৌবহরের উপস্থিতি ব্যবহার করেছে ইউক্রেনীয় উপদ্বীপে তার দাবির ন্যায্যতা প্রমাণ করতে এবং ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, পশ্চিমাদের হাতে পড়া ঠেকাতে ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করেছিল রাশিয়া।
এই ধরনের দাবি সত্ত্বেও, রাশিয়ার এই নৌবহর এবং এর সদর দপ্তর তখন বাস্তবসম্মত হুমকির সম্মুখীন হয়নি। কিন্তু এখন, পুতিনের ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ প্রায় এক বছর সাত মাস পরে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দখলকৃত ক্রিমিয়াতে রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর কেন্দ্রস্থলে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।