নতুন কথা ডেস্ক: ‘রাষ্ট্র কর্তৃক পাটকল ও চিনিকল বন্ধ করে দেয়া দেশ ধ্বংসের নামান্তর। ইতোমধ্যে ২৫টি পাটকল ও ৬টি চিনিকল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, ৩২ হাজার প্রত্যক্ষ শ্রমিক আজ বেকার। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ৬০ লক্ষ পাট চাষি, ১০ লক্ষ আখ চাষিসহ প্রায় ১ কোটির অধিক খেতমজুর। এভাবে রাষ্ট্রিয় কল-কারখানা বন্ধ করে দিলে শ্রমিক-কৃষক মরে যাবে, বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।’ আজ জাতীয় কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভায় কৃষক নেতারা এই কথা বলেন।
জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি মাহামুদুল হাসান মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশা এমপি। সভার শুরুতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম গোলাপ রাজনৈতিক-সাংগঠনিক খসড়া প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। সভায় বক্তারা আরো বলেন, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা আজ হুমকির মুখে, যার ফলে জরুরী ভিত্তিতে সরকার ৩ লক্ষ টন খাদ্য আমদানি করছে, এই পরিস্থিতির উদ্ভব হওয়া সরকারের এক ধরণের ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই নয়। সভা থেকে দাবি তোলা হয়, আর কোন রাষ্ট্রিয় কল-কারখানা বন্ধ করা যাবে না এবং বন্ধ হওয়া কারখানাগুলো আধুনিকায়ন করে অবিলম্বে খুলে দিতে হবে। না হলে কৃষক সমিতি বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি আনিসুর রহমান মল্লিক, সহ সভাপতি জ্যোতি শংকর ঝন্টু, হাজী বশিরুল আলম, বিশ্বজিৎ বাড়ৈ, সহ সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর সাহা দিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, করম আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোস্তফা আলমগীর রতন, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. রেজাউল করিম, দপ্তর সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ খান, আদিবাসী কৃষক সম্পাদক রবীন সরেন, ত্রাণ-পুনর্বাসন ও স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক মিজানুর রহমান, সদস্য, মজিবর রহমান, ফজলুল হক বুলবুল, প্রণব কুমার চৌধুরী খোকন, তানভীর রুসমত, নব-সংযুক্ত সদস্য মোজাম্মেল হক ফিরোজ, গোলাম হোসেন, মো. আব্দুল মোতালেব হাওলাদার এবং এ্যাড. ফিরোজ আলম প্রমুখ।