ঢাকা প্রতিনিধিঃ আজ বেলা ১২টায় উক্ত দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে সংগঠনের সভাপতি কাজী আব্দুল মোতালেবের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অতুলন দাস আলোর সঞ্চালণায় মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন,’গত বছর করোনা অতিমারীর শুরু থেকেই বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী শিক্ষার্থীদের বেতন-সেমিস্টর ফি মওকুফ, শতভাগ শিক্ষার্থীকে প্রযুক্তি সহায়তা ও বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা প্রদান, শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনেশনের আওতায় এনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলাসহ নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা গ্রহনের দাবি করে আসছিলাম। কিন্তু সরকারের দিক থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়াগুলো প্রায় সবসময়ই উপেক্ষিত হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন থেকে দেড় বছরের বেশি সময় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অধিকাংশ কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের দুই থেকে তিন বছরের সেশনজট তৈরী হয়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে তাদের কর্মজীবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে। এমন সময়ে সরকার কর্তৃক প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে কেবলমাত্র ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখ পর্যন্ত যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে তাদের জন্য ২১ মাস চাকরীতে আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সরকারের দায় সাড়া মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ এবং এতে ক্ষতিগ্রস্ত শতভাগ শিক্ষার্থীকে এর আওয়তায় আনা সম্ভব হবে না। ফলে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যানপূর্বক শতভাগ শিক্ষার্থীর চাকরীতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করতে জানাচ্ছি।’
এসময় তিনি দাবি না মানা হলে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও এর হুশায়ারি উচ্চারণ করেন এবং একইদিনে সারাদেশে উক্ত দাবিতে প্রতিটি সাংগঠনিক জেলায় মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেন ।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলেন,’আমরা সরকারের এহেন উদাসীনতায় অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আজ প্রশ্ন উঠতেই পারে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা ও কর্মজীবনকে অনিশ্চতার মুখে ছুঁড়ে দিয়ে দেশকে কোন পথে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। আজ সকল শ্রেনীপেশার মানুষকে এ নিয়ে কথা বলার সময় এসেছে।
উক্ত মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি রাশেদ খান, ইয়াতুনেসা রুমা ও সাংগঠনিক সম্পাদক অদিতি আদৃতা সৃষ্টি প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তানভীন আহমেদ, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও ক্রিড়া সম্পাদক সুমাইয়া পারভীন ঝরা, সদস্য এস এম মাইনুল সাগর প্রমুখ।