নতুন কথা ডেস্ক : বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা এমপি উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের শহীদ মতিউর রহমান মল্লিকসহ সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শোক ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় উনসত্তরের স্বৈরশাসক জেনারেল আয়ুব শাহী’র বিরুদ্ধে এদেশের সর্বস্তরের মানুষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে আয়ুব শাহী’র পতন ঘটায়। এই দিন ঢাকার নবকুমার ইনষ্টিটিউটের ছাত্র কিশোর মতিউর রহমান মল্লিকসহ অনেকে শহীদ হন।
২৪ জানুয়ারি, ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস। পাকিস্তানি সামরিক শাসন উত্খাতের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের এই দিনে সংগ্রামী জনতা শাসকগোষ্ঠীর দমন-পীড়ন ও সান্ধ্য আইন উপেক্ষা করে মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে নিহত হন নবকুমার ইনস্টিটিউশনের নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান। জনতার রুদ্ররোষ এবং গণঅভ্যুত্থানের জোয়ারে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান অভিযুক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকলকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পতন ঘটে আইয়ুবের স্বৈরতন্ত্রের। অপশাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রামে তাই ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান আজও দেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। ১৯৬৯-এর ৪ জানুয়ারি সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা কর্মসূচি গণঅভ্যুত্থানের পথ সৃষ্টি করেছিল। ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদের রক্তের সিঁড়ি বেয়ে সারাদেশে আন্দোলনের আগুন জ্বলে ওঠে। আর শহীদ আসাদের আত্মদানের পর ২১, ২২ ও ২৩ জানুয়ারি শোক পালনের মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়েছিল এই দিনে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এক তাত্পর্যপূর্ণ মাইলফলক। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা, পরবর্তীতে ১১ দফা ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়েই রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি অর্জন করে মহান স্বাধীনতা।
কর্মসূচি : গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষে থেকে সকাল ৯টায় নবকুমার ইনষ্টিটিউট এ শহীদ মতিউর-এর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করা হবে।