নতুন কথা ডেস্ক : বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী আব্দুল মোতালেব জুয়েল এবং সাধারণ সম্পাদক অতুলন দাস আলো এক যৌথ বিবৃতিতে এমন ঘোষণা দিয়েছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘‘করোনা মহামারীর শুরুতে কভিড-১৯ সংক্রমন প্রতিরোধের লক্ষ্যে গত বছরের ১৬ মার্চ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং তথাকথিত নীতি অনুসরণের মাধ্যমে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। গত বছরের জুন মাসের পর থেকে ধীরে ধীরে সকল সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত অফিস-আদালত, মার্কেট, বিনোদন কেন্দ্রগুলো খোলা হলেও বন্ধ ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস ও পরীক্ষা গ্রহন। দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় দেশের প্রায় সকল পাবলিক ও জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ে পরীক্ষা গ্রহন শুরু হলেও সাম্প্রতিককালে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মণির সাংবাদিক সম্মেলনের পর জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা স্থগিত করা হয় । কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, দেশের বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলমান আছে।’’
তারা বিবৃতিতে আরো বলেন,‘‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দ্বৈতনীতি সুষ্ঠুভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনার পরিপন্থী। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতি নির্ধারকদের একেক সময় একেক সিদ্ধান্ত গ্রহন ও শিক্ষার্থীদের উপর তা চাপিয়ে দেয়া নীতি শিক্ষার্থীদের আশাহত করেছে। একদিকে পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা গ্রহন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা, আর অন্যদিকে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলমান পরীক্ষা স্থগিতাদেশ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দ্বৈতনীতিকেই স্পষ্ট করে তুলেছে। আমরা এই নীতিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে। জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সেশনজট নিরসনে তাদের দেয়া আল্টিমেটাম অনুযায়ী আগামী তিন দিনের মধ্যে স্থগিত পরীক্ষাগুলো মার্চের মধ্যে গ্রহনের উদ্যোগ না নিলে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলনে রাজপথে অবতীর্ন হবে।’’