পেস বোলিংয়ের পাশাপাশি মিডল ও লেট অর্ডারে ব্যাটিংটাও পারেন। তাই খুব অল্প সময়ের ভেতর তিনি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত সদস্য হয়ে গেছেন। অনেক ম্যাচে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে ওপেনিং বোলার হিসেবেও দেখা গেছে। সাফল্যও পেয়েছেন বেশ।
কিন্তু ঢাকায় প্রথম দুই ম্যাচে দেখা যায়নি তরুণ এই অলরাউন্ডারকে। ফিটনেসে খানিক ঘাটতি থাকায় তাকে শেরে বাংলায় প্রথম দুই ম্যাচে খেলানো হয়নি। চট্টগ্রামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে দলে ফিরবেন সাইফউদ্দিন? গতকাল (শুক্রবার) দ্বিতীয় ম্যাচ শেষ হওয়ার পর থেকেই কৌতুহলী প্রশ্ন ভক্ত-সমর্থকদের।
ভেতরের খবর, চট্টগ্রামে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ খেলছেন সাইফউদ্দিন। সম্ভবত রুবেল হোসেনের জায়গায় তাকে একাদশে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আজ (শনিবার) সকালে জাগো নিউজকে এ তথ্য দিয়েছেন।
প্রশ্ন ছিল-সিরিজ তো নিশ্চিত হয়ে গেছে, এখন কি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হবে? ১৮ জনের থাকা তরুণদের কাউকে কি খেলানো হবে শেষ ম্যাচে? জাতীয় দলের ক্যাপ না পরা পেসার শরিফুল ইসলাম আর অফস্পিনিং অলরাউন্ডার শেখ মেহেদি হাসানের কারও কি চট্টগ্রামে অভিষেকের সম্ভাবনা আছে?
মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর কথা, ‘আমরা তো তরুণদের আগামীর জন্য তৈরি করার কথাই ভাবছি। সে চিন্তায়ই তাদের নেয়া। তবে আমরা দল নিয়ে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারব না, করতে চাইও না। কারণ আমাদের প্রতিটি ম্যাচের ফল গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপের কোয়ালিফাই মার্কসের জন্য ম্যাক্সিমাম পয়েন্ট চাই। আমাদের মাথায় সেটাও রাখতে হচ্ছে। কাজেই দল নিয়ে খুব বেশি এক্সপেরিমেন্ট করার সুযোগ নেই।’
নান্নু বোঝানোর চেষ্টা করেন, ভক্ত-সমর্থক ও অন্যরা বাইরে থেকে যাই ভাবুন আর বলুন না কেন; কঠিন সত্য হলো, এখন থেকে প্রতিটি ম্যাচের পয়েন্টই গণনা করা হবে। তাই জয়টা খুব জরুরি। সে কারণেই দল নিয়ে বাড়তি পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর সুযোগ ও সম্ভাবনা কম।
আর তাই ঢাকায় সিরিজ নিশ্চিত হয়ে গেলেও চট্টগ্রামে শেষ ওয়ানডেতে দলে খুব বেশি রদবদলের সম্ভাবনা কম। তবে প্রধান নির্বাচক সাইফউদ্দিনের মাঠে নামার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সাইফউদ্দিন এখন পুরোপুরি ফিট। তাই তাকে চট্টগ্রামে দেখা যাবে। সম্ভবত রুবেলের জায়গায় খেলানো হবে সাইফউদ্দিনকে।’
এর বাইরে তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মেহেদি হাসানের খেলার সম্ভাবনার কথা জানতে চাওয়া হলে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘সেটা চট্টগ্রামে যাওয়ার পর অবস্থা দেখে বোঝা যাবে। তবে তিনি মিরাজের পারফরম্যান্সে আমরা সন্তুষ্ট। তাকে আমরা ৫০ ওভারের ফরম্যাটে কার্যকর বিবেচনা করেছিলাম। সে ক্লিক করেছে। সে সবে নিজের ছন্দ ফিরে পেয়েছে। এখন তাকে পরের ম্যাচেই বাইরে নেয়া কঠিন। তারপরও দেখি বাকি তরুণদের মধ্যে কাউকে খেলানো যায় কি না।’
প্রধান নির্বাচকের কথা শুনে মনে হয়েছে, এখন পর্যন্ত সিরিজে সুযোগ না পাওয়াদের মধ্যে কেবল সাইফউদ্দিনই নিশ্চিত। তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম ও মেহেদির মধ্য থেকে বড়জোর এক বা দু’জনার সম্ভাবনা থাকতে পারে।