তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলছে চারদিন। প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাও নিচ্ছেন না শিক্ষকরা। একইভাবে চার দফা দাবিতে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বর্জনসহ লাগাতার কর্মবিরতিতে রয়েছেন দুদিন। দাবি বাস্তবায়ন ছাড়া কর্মবিরতি অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারীদের শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছিল গত ৭ নভেম্বর। পরে ৯ নভেম্বর থেকে কর্মবিরতিসহ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকরা। তারপর ১০ নভেম্বর দাবি বাস্তবায়নের সরকারি আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়ার সময় নভেম্বর মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করে ৩০ নভেম্বর থেকে কর্মবিরতি ঘোষণা করেন শিক্ষকরা। শিক্ষকরা সম্মিলিতভাবে দেশব্যাপী কর্মবিরতি শুরু করেন। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) কর্মবিসের চার দিনের কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা।
‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অর্থবিভাগের আশ্বাসের পর নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিল শিক্ষকরা। কিন্তু দৃশ্যমান কোনও অগ্রগতি না থাকায় গত বৃহস্পতিবার থেকে পরীক্ষা বর্জনসহ কর্মবিরতি শুরু হয়েছে প্রসঙ্গত, গত ১ ডিসেম্বর থেকে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) পরীক্ষা নেননি শিক্ষকরা। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (কাসেম-শাহীন) সভাপতি প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাসেম, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (শাহিন-লিপি) সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শামছুদ্দিন মাসুদ, দশম গ্রেড বাস্তবায়নের মু. মাহবুবুর রহমান এবং অন্যতম সমন্বয়ক মোহাম্মদ আনোয়ার উল্যা।
মাধ্যমিক শিক্ষকদের চার দফা
১। সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারভুক্ত করে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের’ গেজেট প্রকাশ।
২। বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষকদের বিভিন্ন শূন্য পদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন দ্রুত কার্যকর করা।
৩। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরি আদেশ দেওয়া।
৪। ২০১৫ সালের আগের মতো সহকারী শিক্ষকদের দুই থেকে তিনটি ইনক্রিমেন্টসহ অগ্রিম বর্ধিত বেতন-সুবিধা বহাল করে গেজেট প্রকাশ করা।



