ফিলিস্তিনী জনগণের উপর ইজরাইয়েল সৈন্যদের নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ ও নিপীড়ন- নির্যাতনের প্রতিবাদে আজ ১৭ মে সোমবার সকাল ১১মিঃ মিনিটে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, ‘জেরুজালেম ফিলিস্তিনের রাজধানী ও তাদের আবাস ভূমি। ফিলিস্তিনী জনগণের ন্যায় সংগত ও আল আকসা মসজিদে প্রার্থনারত মানুষ লক্ষ করে ইজরাইয়েলী সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় শিশু ও কিশোরসহ ২০০ শতের উপর হত্যা করার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন এটা বর্বর উপুর্যপুরি গণহত্যা। তিনি আরো বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ফিলিস্তিনের মহান নেতা ইয়াসির আরাফাত আমাদের পক্ষে দাঁড়িয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এর ন্যায্যতা তুলে ধরেছিলেন। আজ সময় এসেছে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র দাবীকে বাস্তবায়ন করার। জাতিসংঘের স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র মর্যাদা প্রদানের যে প্রস্তাব নেয়া হয়েছিল তা যেন কাগুজে বিষয় হয়ে আছে, ইসরাইল অনবরত ফিলিস্তিনিদের উপর যে বর্বর হামলা তা বন্ধ করতে অপারগ। তিনি বিশবাসীকে এই নগ্ন হত্যা হামলা রুখে দাড়াবার আহŸান জানান। বাংলাদেশ শুরু থেকে স্বাধীন প্যালেষ্টাইন রাষ্ট্রের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এসেছে। এই সর্মথন অব্যাহত রাখাতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধানের বিদেশ নীতিতে জোট নিরপেক্ষ ও সকলের সাথে শান্তিপূণ সহ অবস্থানের যে নীতি তা বজায় রাখা এবং কোন সামরিক জোটে যাওয়ার অবকাশ নেই। তিনি বলেন ‘ফিলিস্তিনে গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ইজরাইয়েল বিচার হওয়া দরকার।
সভাপতির বক্তব্যে কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক, অবিলম্বে প্যালেস্টাইন জনগণের আবাসভূমি দখলদার মুক্ত করার দাবি জানান। সমাবেশ শেষে ইজরাইয়েলী পতাকা আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পলিটব্যুরোর সদস্য কামরূল আহসান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি কমরেড আবুল হোসাইন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন, কমরেড মোস্তফা
আলমগীর রতন, বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সভাপতি সাব্বাহ আলী খান কলিন্স, কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড কিশোর রায়, কমরেড শাহানা ফেরদৌস লাকী, মহানগর নেতা কমরে সাদাকাত হোসেন খান বাবুল, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী সভাপতি আব্দুল মোতালেব জুয়েল প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পার্টির কার্যালয় এসে শেষ হয়।