বৃহস্পতিবার,২৮,মার্চ,২০২৪
24 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
Homeনারী কথাআন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস-নারী কৃষকের কাজের স্বীকৃতি চাই

আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস-নারী কৃষকের কাজের স্বীকৃতি চাই

নতুন কথা প্রতিবেদনঃ ১৫ অক্টোবর ছিল বিশ^ গ্রামীণ নারী দিবস। প্রতি বছরের মতো এবারও জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোসহ বাংলাদেশও দিবসটি পালন করেছে। পরিবার ও সমাজে নারীর অবস্থানের যথাযথ মূল্যায়নের লক্ষ্যে ২০০৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় ১৫ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। তাদের শতকরা ৮৬ ভাগের বাস করেন গ্রামে। গ্রামীণ নারীদের বহুমাত্রিক ভ‚মিকা ও অবদানকে যথাযথ স্বীকৃতি বিশেষ করে কৃষিখাতে নারীর শ্রমের স্বীকৃতির দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করছে। এবার এই দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘কৃষিতে জৈব প্রযুক্তি, নারী কৃষকের কাজের স্বীকৃতি।’

দেশের কৃষিখাতে বিভিন্ন ধরণের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় প্রায় ৫ কোটি নারী নিয়োজিত। নারী শ্রমশক্তির ৬৮ শতাংশই কৃষিভিক্তিক খাতে যেমন বনায়ন, মৎস্যখাতে জড়িত। যদি অর্থনৈতিক অবদানের মূল্যায়ন বা স্বীকৃতি তারা পাচ্ছেন না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্জনের ক্ষেত্রে গ্রামীণ নারীদের বিশাল অবদান থাকলেও তা স্বীকার করা হয় না। কৃষিখাত ছাড়াও প্রবাসে ও শিল্পকলকারখানায় কর্মী হিসেবে বিরাট সংখ্যক নারী শ্রমিক উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছেন। অথচ তারা প্রতিনিয়ত মজুরিসহ, কর্মঘন্টা বৈষম্যে এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে যৌন হয়রানি ও সহিংসতার স্বীকার হচ্ছেন। অনেক সময় তারা পুরুষের চেয়েও বেশি কাজ করছেন।  এদেশে জমির মালিকানা পুরুষের ৮১ শতাংশ নারীর ১৯ শতাংশ। গ্রামীণ নারীর কৃষকরা কৃষিঋণসহ কৃষকদের জন্য দেয়া প্রনোদনা বা সুবিধা থেকেও কঞ্চিত। গ্রামীণ সমাজে কৃষিকাজকে নারীর প্রাত্যহিক কাজের অংশ বলে বিবেচনা করা হয়। এ কারণে তাদের অংশগ্রহণ বাড়লেও কমছেনা মজুরি বৈষম্য। তারা মজুরি পান পুরুষের অর্ধেক। জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতিতে নারী কৃষিকদের এই বিষয়গুলো অন্তভ‚ক্ত করার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

সর্বশেষ