“নেতৃত্বের হিস্যা নিয়েই মূলত একীভূতকরণ প্রক্রিয়াটি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে”
সুত্র জানায়, আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গি ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে মিল থাকায় তরুণদের দুটি দল-গণঅধিকার পরিষদ ও জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি ‘একীভূত’ হচ্ছে, এমন আলোচনার মধ্যে বিকল্প চিন্তাভাবনার কথাও জানা যাচ্ছে। তাহলে কী দুই দলের একীভূতকরণ ঝুলে গেল?
একীভূত দলের নেতৃত্বে কার কী অবস্থান হবে, সেই বিষয়ে মতপার্থক্য দূর করা যাচ্ছে না। নেতৃত্বের হিস্যা নিয়েই মূলত একীভূতকরণ প্রক্রিয়াটি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। “একীভূত হওয়ার বিষয়টি এখনও আলোচনার পর্যায়ে আছে। বিকল্প অন্য কোনো উপায়ে একসাথে পথ চলা যায় কি না, সেই বিষয়টিও দুই দলের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে।”
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিপেটায় গণঅধিকারের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর আহত হওয়ার পর দুই দলের নেতাদের মধ্যে একত্রিত হওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু হয়।
পরে একীভূত হওয়ার জন্য দল দুটির শীর্ষ পর্যায়ের অন্তত ১৫ জন প্রতিনিধি বসে কয়েক দফায় আলোচনাও করেছিলেন। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও গণঅধিকার পরিষদের সাধার সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন একীভূত হওয়ার বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন। একীভূত হওয়ার বিকল্প হিসেবে জোটবদ্ধ আন্দোলন কিংবা বিষয়ভিত্তিক আন্দোলনের চিন্তা করছেন শীর্ষ নেতারা।
“এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে আদর্শগত ও কর্মসূচিগত অনেক মিল রয়েছে। উচ্চকক্ষে পিআর (সংখ্যানপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি), জুলাই সনদের আলোকে নির্বাচন ও জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধকরণের ক্ষেত্রে আমাদের কর্মসূচি একই। সেই কারণে একীভূতকরণের আলাপটি উঠেছিল।
আগামী দিনে কীভাবে একসঙ্গে পথ চলা যায়, সেই ধরনের একটা প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সেটা একীভূতকরণও হতে পারে, আবার জোটবদ্ধ বা ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনও হতে পারে।” তবে মঙ্গলবার এনসিপির কয়েকজন শীর্ষ নেতা বলেন, একীভূত হওয়ার আলোচনা প্রায় থেমে গেছে। এখন বিকল্প কোনো উপায়ে একসাথে রাজনীতি করা যায় কিনা সেই দাবি জোরদার হচ্ছে।



