যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন আমদানি ফের শুরু করা, বিরল মৃত্তিকা রপ্তানি অব্যাহত রাখা এবং ফেন্টানাইলের অবৈধ কারবারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বেইজিংয়ের প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক হ্রাস করে ৪৭ শতাংশে নামিয়ে আনার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প।
শির সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এশিয়ায় ট্রাম্পর পাঁচ দিনের সফর শেষ হয়েছে। ট্রাম্প এ সফরে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে যুগান্তকারী বাণিজ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন। রয়টার্স জানিয়েছে, বুসান ছাড়ার কিছুক্ষণ পর ট্রাম্প তাকে বহনকারী উড়েোজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের বলেন, “আমি মনে করি এটি একটি (শির সঙ্গে) চমৎকার বৈঠক হয়েছে।” এ সময় তিনি জানান, চীনের আমদানি পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক ৫৭ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ হ্রাস করে ৪৭ শতাংশ করা হবে।
ট্রাম্প চীনের সঙ্গে হওয়া সমঝোতা চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করার পর বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। এশিয়া ও ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ শেয়ার সূচকগুলো লাভ ও লোকসানের দোলাচলে পড়ে যায়। চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচকে ১০ বছরের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে নেমে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিনের ভবিষ্যৎ দুর্বল হয়ে পড়ে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (এপিইসি) এর শীর্ষ বৈঠকের ফাঁকে ট্রাম্প ও শির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে রোববার মালয়েশিয়ার কুলালামপুরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে চীনের প্রতিনিধি দলের ফলপ্রসূ বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের পর মার্কিন আলোচকরা জানান, তারা চীনের সঙ্গে একটি ফেমওয়ার্কের বিষয়ে একমত হয়েছেন আর এর মাধ্যমে চীনা পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শতভাগ শুল্ক আরোপ এড়ানো সম্ভব হবে আর চীন বিরল মৃত্তিকার রপ্তানির ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ স্থগিত রাখবে। বিশ্বের বিরল মৃত্তিকা রপ্তানি খাতের প্রায় পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করে চীন।
তবে রয়টার্স জানিয়েছে, দুই রাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য বৈরিতা অবসানের এসব প্রচেষ্টা কতোদিন টিকে থাকবে তা নিয়ে বহু প্রশ্ন রয়ে গেছে।



