Site icon নতুন কথা

করোনায় বেসামাল ভারত, ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

সর্বোচ্চ সতর্ক হতে হবে # মাস্ক পরার বিকল্প নেই

নতুন কথা ডেস্ক: শ্মশানের চিতায় জ¦লছে আগুন। সে আগুনের ফুলকি কিছুতেই কমছে না। বরং দিন দিন তা আরো বাড়ছে। একটা/দু’টা নয়, শ্মশান জুড়ে জ¦লন্ত চিতার সারি। মাটিতে শোয়ানো সারি সারি মৃত দেহ। শবদেহে ভর্তি পার্কিং এরিয়া। মৃতদেহ পোড়ানো হচ্ছে পার্কেও। ক্লান্ত নগর জীবনে একটু বিনোদন স্থান; পার্কেও এখন পোড়া লাশের গন্ধ। তার পরেও ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষাতেও মিলছে না শেষকৃত্য। পাওয়া যাচ্ছে না কবর খোঁড়ার লোক। এ দৃশ্য ভারতের দিল্লিতে। একই অবস্থা মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যে। ভয়াবহ গতিতে মৃত্যু ও সংক্রমণ বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গেও। সব মিলিয়ে প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারত করোনায় বেসামাল হয়ে পড়েছে। উদ্বেগ বাড়ছে বাংলাদেশেও। ভারতের করোনার নতুন ধরণ সে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। দেশটির ডাবল ও ট্রিপল মিউট্যান্টের এই ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে চলে আসার আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এখনই পদক্ষেপ না নিলে সামনে ভয়াবহ বিপদের ঝুঁকি রয়েছে!
সুত্র বলছে, করোনায় ভারতের রাজধানী দিল্লী এখন মৃত্যুপুরী! অক্সিজেনের হাহাকার চারদিকে। হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে মানুষের মৃত্যু বেশি হচ্ছে। মৃত্যুর মিছিল থামছে না অন্যান্য রাজ্যেও। প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে করোনার ট্রিপল মিউট্যান্ট পাওয়া গেছে। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, চত্রিশগড় ও পশ্চিমবঙ্গে ভারপ্রাপ্ত তিনটি আলাদা আলাদা ভ্যারিয়েন্টের ভারতের গবেষকরা নাম দিয়েছে ‘বি-ওয়ান-সিক্স-সেভেনটিন’। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাস কখনো দুর্বল হয় আবার কখনো তা আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন বলেন,“ভারতের ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে আসতে পারে।” তবে তিনি হতাশ না হয়ে সচেতন হওয়া কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে প্রবেশ করলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।
বাংলাদেশে এখনো ভারতের ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায় নি। তবে এই ভ্যারিয়েন্ট আসলে বিপদ বাড়বে। ইতোমধ্যে সরকার সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, কেবল বন্ধ নয়, কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে কোনোভাবেই ভারতের লোক বাংলাদেশে আসতে না পারে। কোনোভাবে ওই ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে আসলে এদেশে করোনার সুনামি হবে। তারা আরো বলছেন, করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মাস্ক পরার বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, মাস্ক না পরলে সংক্রমণ শঙ্কা ৯০ শতাংশ। সংক্রমিত রোগী না মাস্ক পরলে সংক্রমণের শঙ্কা ৩০ শতাংশ। আর দু’জনেই মাস্ক পরলে সংক্রমণের শঙ্কা ১.৫ শতাংশ। তাই প্রতিবেশি দেশ ভারতের ভ্যারিয়েন্ট থেকে রক্ষা পেতে আরো বেশি সতর্ক থাকতে হবে, প্রস্তুতি নিতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

Exit mobile version