Site icon নতুন কথা

খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়লেও বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই

খালেদা জিয়া

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হচ্ছে। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বরে শেষ হবে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে একই শর্তে দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে।

রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।

আইনমন্ত্রী বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে আইনি কোনও সুযোগ নেই। আইনি সুযোগ থাকলে আমরা বিবেচনা করতাম। আমার স্বাক্ষরের পর ফাইল ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চলে গেছে।

গত মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করাতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ফের আবেদন করা হয় বলে একটি পত্রিকায় খবর বের হয়।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। ওই বছরের ৩০ অক্টোবর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলে আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার সাত বছরের সাজা হয়।

২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রথমবারের মতো শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তি পান খালেদা জিয়া। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়। এরপর দফায় দফায় বাড়ে তার মুক্তির মেয়াদ। সবশেষ গত মার্চ মাসে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং বিদেশ যেতে না পারার দুটি শর্তই বহাল রেখে আরও এক দফা তার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনে সায় দেয় সরকার।

Exit mobile version