চীনের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ দীর্ঘদিন স্থায়ী হবে না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তবে চীনের বিরুদ্ধে বিরল খনিজ রপ্তানির ওপর কঠোর নিয়ম আরোপের পর বাণিজ্য আলোচনায় অচলাবস্থা এসেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, চীনের ওপর শুল্ক আরোপ স্থায়ী হবে কিনা এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এটি টেকসই বা দীর্ঘমেয়াদে হবে না। আরও বলেন, চীন আমাকে এটা করতে বাধ্য করেছে। এক সপ্তাহ আগে তিনি চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। বিরল খনিজ রপ্তানির ওপর চীনের কঠোর নিয়ম আরোপের পর ওই সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, চীন এ ধরণের খনিজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। যেগুলো প্রযুক্তি খাতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দুই সপ্তাহের মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প। এসময় তিনি চীনা প্রেসিডেন্টের প্রশংসাও করেন। বলেন, আমার মনে হয় চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ঠিক হয়ে যাবে। তবে এর জন্য একটি নায্য চুক্তি প্রয়োজন। পরবর্তীতে হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের আগে তিনি বলেন, চীন আলোচনা চায় এবং আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। ট্রাম্পের নরম সুর ও শির সঙ্গে তার সাক্ষাতের ইচ্ছা শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিটের প্রাথমিক ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করেছে। গত সপ্তাহে চীনা আমদানির ওপর ট্রাম্পের উচ্চ শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের মূল স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন কমে যায়। যা বর্তমানে উর্ধ্বমূখী।
এদিকে শুক্রবার চীনের উপ প্রধানমন্ত্রী হি লিফেংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট। একে তিনি বিস্তারিত এবং খোলামেলা আলোচনা হিসেবে অভিহিত করেছেন। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রধান বলেছেন, তিনি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছেন। বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য উত্তেজনা বিশ্বব্যাপী উৎপাদন ৭ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে।



