জুলাই জাতীয় সনদ সই অনুষ্ঠানে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ ওপর পুলিশি হামলায় অন্তবর্তী সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর মিরপুরে এক শ্রমিক সমাবেশে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা বার বার দাবি করেছি, তাদেরকে (‘জুলাই যোদ্ধাদের’) স্বীকৃতি দিন, সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিন, তাদের প্রতি মর্যাদা দেখান। কিন্তু না, আমাদের অন্তবর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে আজকে তারা সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অবস্থান নিয়েছে। আমরা শুনেছি এখন সরকার বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন। ‘‘কিন্তু এর মাঝে কিছু অসুন্দর কাজ হয়েছে কিনা আমি নিশ্চিত না। যদি হয়ে থাকে আমি ব্যথিত, দুঃখিত, লজ্জিত। এরা জালিমের হাতে মার খেয়েছে, আজকে অন্তবর্তীকালীন সরকারের পুলিশের হাতে যদি মার খায় এই লজ্জা আমি কোথায় রাখব।”
জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, আইনি সুরক্ষা, পুনর্বাসনের দাবিতে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চের সামনে অবস্থান নেয় ‘জুলাই যোদ্ধারা’। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি আলী রীয়াজ মঞ্চে এসে তাদের দাবি পূরণে জুলাই সনদে সংশোধনী আনার ঘোষণা দেন। ওই প্রতিশ্রুতির পরও ‘জুলাই যোদ্ধারা’ সেখান থেকে না সরলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে ও লাঠিপেটা করে সেখান থেকে তাদের সরায়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডও ব্যবহার করে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে ওই শ্রমিক সমাবেশে শফিকুর রহমান বলেন, ‘‘আমরা সরকারকে বলব, দয়া করে নিজেদের দায়িত্বের প্রতি সুবিচার করুন। আমরা আর কাউকে রাস্তায় দেখতে চাই না। আরও অনেকে দাবি-দাওয়া নিয়ে নেমেছে। অনেক দাবি-দাওয়া আর জুলাই যোদ্ধাদের দাবি-দাওয়া এক না। ‘‘এটাকে ভিন্নভাবে অবশ্যই দেখতে হবে।” বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে মিরপুরের পবর্তা ঈদগাহ মাঠে ঢাকা-১৫ আসনে এ শ্রমিক সমাবেশ হয়। এ আসন থেকে জামায়াতের আমিরের আসন্ন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা রয়েছে।
শ্রমিক সমাবেশে ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনসহ মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।



