তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের ডাকে ১ নভেম্বর তিস্তা পাড়ে মানববন্ধন-নদী রক্ষার লড়াইয়ে সংহতি ওয়ার্কার্স পার্টির

নতুন কথা প্রতিবেদন: ১ নভেম্বর তিস্তার দু’পাড়ে মানবন্ধনের ডাক দিয়েছে তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ। ২৭০ কিলোমিটার জুড়ে অনুষ্ঠিত তিস্তা পাড়ের ওই মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। দলটি ওই দিন দেশের বিভিন্ন জেলায় সংহতি কর্মসূচীও পালন করবে। একই সাথে ভারতের সাথে তিস্তার পানি বন্টন কর্মসূচী, নদী ভাঙন, নদীর নাব্যতা নিশ্চিত করা এবং নদী দূষণ ও নদী দখল বন্ধের দাবিতে রাজপথে সোচ্চার থাকবে ওয়ার্কার্স পার্টি।
এ উপলক্ষে গত ২০ নভেম্বর পার্টির রংপুর বিভাগের নেতৃবৃন্দের এক সভা রংপুর কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মূল বক্তা ছিলেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা। পলিটব্যুরোর সদস্য ও তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিক, আমিনুল ইসলাম গোলাপ। আলোচনায় অংশ নেন রংপুর বিভাগের জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের কর্মসূচীর সাথে সংহতি প্রকাশ করে কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, তিস্তা নিয়ে সরকার যে পরিকল্পনা নিয়েছে তা বাস্তবায়িত হলে তিস্তা অববাহিকার মানুষ শুধু উপকৃতই হবে না, উপর্য্যপুরী বন্যা, নদী ভাঙনের হাত থেকেও রক্ষা পাবে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইনে বলা আছে, নদীর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে ভাটির দেশের মতামত নিতে হবে। কিন্তু ভারত আন্তর্জাতিক আইন মানছে না। এতে বাংলাদেশের নদীগুলো নাব্যতা সঙ্কটে পড়ছে। প্রকৃতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
উত্তর জনপদের প্রকৃতি ও পরিবেশ প্রসঙ্গে কমরেড বাদশা বলেন, নদীতে পানি না থাকায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রকৃতি বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। এখানে তাপমাত্রা বাড়ছে। বৃষ্টি হচ্ছে না। হঠাৎ ঝড় হচ্ছে। আবার নদী ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে উপকূলের নদীগুলোতে সাগরের পানি এসে ঢুকে পড়ছে। ফলে নদীর পানিও নোনা হয়ে যাচ্ছে। ফসল হচ্ছে না। আবাদি জমি অনাবাদি পড়ে থাকছে। তাই এখনই আমাদের এসব বিষয় নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নদীগুলোর নাব্যতা রক্ষা করতে হবে। পুকুর-বিলগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় একটা বড় আন্দোলন গড়ে তোলার আহŸান জানিয়ে উত্তরের মানুষের প্রিয় এই নেতা বলেন, প্রভাবশালীরা নদী দখল করে বড় বড় ভবন করছে। এতে প্রকৃতি হুমকির মুখে পড়ছে। এ অবস্থায় নদী রক্ষায় ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাকর্মীদের জনগণের সাথে সংগ্রাম করতে হবে। পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় একটা বড় আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আন্দোলন সফল হলে দেশের প্রকৃতি বাঁচবে।
তিনি বলেন, গত ৯ বছর ধরে ভারতের সাথে ঝুলে থাকা তিস্তা চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। মাত্র ক’দিন আগে যে তিস্তায় বন্যা হয়েছে তা শুকনো মৌসুম না আসতেই ধু ধু বালুচর। তিস্তায় পানি না পেলে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন দূরহ হবে। তিনি এই সংগ্রামে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।