তিস্তা সুরক্ষায় দুই তীরে লাখো মানুষের ঢল,স্মরণকালের বৃহৎ মানববন্ধন

উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি : ‘পানি জন্য যখন হাহাকার, তখন শুকিয়ে ফেটে চৌচির হয় নদী ও মাঠ। আবার অসময়ে বানের জলে ভেসে যায় সবকিছু। নদীগর্ভে বিলীন হয় বসতাভিটা, ফসলের মাঠ’-এভাবেই কখনো বানে ভেসে, কখনো খরায় পুড়ে কাঠ হয় উত্তর জনপদ। তিস্তা অববাহিকার কোটি মানুষের এই মরণদশা বহুকাল ধরে। কিন্তু আর না। তারা এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চান। তাইতো এই জনপদের কৃষি ও অর্থনীতির প্রাণ তিস্তা সুরক্ষার দাবিতে ১ নভেম্বর দুই তীরে অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে লাখো মানুষের ঢল নেমেছিল। কৃষক, মজুর, শ্রমিকসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ যোগ দিয়েছিলেন ওই মানববন্ধনে। শিশু থেকে বৃদ্ধ, পুরুষ ও নারী-ঘর ছেড়ে সবাই এসেছিলেন নদীপাড়ে। লাখো কণ্ঠে আওয়াজ উঠেছিল-‘অভিন্ন নদী হিসেবে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা চাই, প্রাণের দাবি ভারতের সাথে সম্পাদিত তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়ন চাই।’ বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রকাশিত স্মরণকালের সর্বোবৃহৎ এই মানববন্ধনের আয়োজন করেছিল তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত বড় মানববন্ধন আর কখনোই হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষকরা। ২৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মানববন্ধন কেবল দেশেই নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তিস্তা নদীর প্রবেশমুখ বাংলাদেশের নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই জিরো পয়েন্ট থেকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর ঘাট (এখানে তিস্তা ব্রহ্মপুত্রে মিলেছে) পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে ৭৫টি পয়েন্টে সংগ্রাম পরিষদের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধনকে সফল করার লক্ষ্যে অনেকদিন থেকেই নদীর তুই তীরের  জেলারবিভিন্ন জেলা-উপজেলায় হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় পথসভা, মতবিনিময়, সমাবেশ করে মানুষকে সংগঠিত করেছে তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ। রাত-দিন পরিশ্রম করে একটি সফল মানববন্ধন করার পর সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, নিজেদের বাঁচার লড়াইয়ে যারা এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমরা এ লড়াইয়ে পিছুপা হব না। লাখো মানুষের অংশগ্রহণের এই মানববন্ধন আমাদের সামনের লড়াইয়ের প্রেরণা। ‘তিস্তায় সারা বছর পর্যাপ্ত পানি চাই ও অভিন্ন নদী হিসেবে ভারতের সঙ্গেন্যায্য হিস্যার ভিত্তিতে তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন কর’, ‘ভাঙন আর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণসহ ভাঙনের শিকার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আবাসন ব্যবস্থা কর’ ‘নদীর তীরবর্তী মানুষের স্বার্থ ঠিক রেখে তিস্তা সুরক্ষামহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন চাই’ ‘তিস্তার শাখা, প্রশাখা ও উপশাখাগুলোর সঙ্গে নদীর আগের সম্পর্ক ফেরাতে হবে। পর্যাপ্ত জলাধার নির্মাণ চাই’ ‘চরাঞ্চলের কৃষি ও কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন’-প্রভৃতি দাবিতে অনুষ্ঠিত এযাবতকালের দেশের সবচেয়ে বড় এই মানববন্ধনে বিভিন্ন স্থানে সমাবেশে বক্তব্য দেন তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী,সফিয়ার রহমান,শফিকুল ইসলাম কানু, আমিন বিএসসি, মোজাফফর হোসেন, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, মাহমুদ আলম, আমিনুর রহমান, মাহাবুব আলম, সাদেকুল ইসলাম দুলাল, বখতিয়ার হোসেন শিশির, আব্দুন নুর দুলাল, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগীয় প্রধান নদী গবেষক ড.তুহিন ওয়াদুদ, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুরুজ্জামান খান প্রমুখ। এসময় সংগ্রাম পরিষদ সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও মহাভোগান্তির অনেকটাই লাঘব হবে। তবে খরা থেকে বাঁচতে ও শুষ্ক মৌসুমে পানি সঙ্কট দূর করতে তিস্তা চুক্তি ও তার বাস্তবায়নও একান্ত জরুরি। এটি এই অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি। তিনি অবিলম্বে ভারতের সাথে বাংলাদেশের তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহŸান জানান। হক্কানী আরো বলেন, প্রতি বছর তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙনে হাজার হাজার পরিবার বাস্তুভিটা ও জমি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে। অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমে তিস্তার পানি একেবারে কমে যায়, ফলে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এ জন্য ভারতের উজানে বাঁধ দিয়ে তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নদী পুনঃখনন না হওয়ায় মরা খালে পরিণত হচ্ছে তিস্তা। এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে তিস্তা নদী খনন করে পানির প্রবাহ অব্যাহত রাখলে বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের কবলে পড়তে হবে না। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তিস্তা অববাহিকার পাঁচ জেলাসহ উত্তর জনপদের জীবনধারা বদলে দিতে কৃত্রিম জলাধার নির্মাণ করে সেচ প্রদান ছাড়াও বহুমাত্রিক উৎপাদন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্যাটেলাইট শহর, বিদ্যুৎকেন্দ্র, অর্থনৈতিক জোন, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও নৌপথ-বন্দর নির্মাণসহ তিস্তা সুরক্ষায় মহাপ্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। তারা বলেন, এর মধ্যে ‘তিস্তা নদীর সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার’ প্রকল্পের আওতায় তিস্তা নদীগর্ভে ড্রেজিং, পাড় সংস্কার ও বাঁধানো এবং ভূমি পুনরুদ্ধার করা হবে। তা ছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় বাঁধ মেরামত করা হবে। নদী ড্রেজিং, অবকাঠামো নির্মাণের ফলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, গ্রীষ্মকালে পানির সঙ্কট দূর ও নদীভাঙন প্রতিরোধ হবে। তিস্তা থেকে সৃষ্ট শাখা নদী ও অন্যান্য নদীতে ড্রেজিং ও পাড় নির্মাণ করে পানিপ্রবাহ সঠিক রাখা ও কৃষিকাজে ভূগর্ভস্থ পানির পরিবর্তে নদীর পানি ব্যবহার করা যাবে। দীর্ঘদিনের বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখছে তিস্তাপাড়ের মানুষ। কিন্তু একটি চক্র এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টির পাঁয়তারা করেছে। তাই তিস্তা নিয়ে মহাপরিকল্পনা দ্রæত বাস্তবায়নের জন্য আমরা নদী তীরে ২৩০ কিলোমিটার জুড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছি।

মানববন্ধনে স্থানীয় বাসিন্দারা তিস্তার ভাঙন, বন্যায় ঢলের আঘাত আর শুষ্ক মৌসুমে পানির জন্য হাহাকারের কথা স্মরণ করে বলেন, খরা, বন্যা ও নদীভাঙনে তিস্তাপারের মানুষ দিশেহারা। দুই পাড়ের লাখ লাখ মানুষ আবাদি জমিসহ বাড়িভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তিস্তার ভাঙনে বিলীন হওয়া জমি, বসতবাড়ি পুনঃউদ্ধার করা জরুরি। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে তাদের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ঘুচবে। নদীভাঙন রোধসহ স্থানীয়দের বসতবাড়ি রক্ষা ও নদীর জমিও উদ্ধার করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর  নেমে যাওয়ার কারণে সৃষ্ট হওয়া সঙ্কটও দূর হবে। নদীর গভীরতা বাড়লে শুষ্ক মৌসুমেও পানির অভাব হবে না। এছাড়া বন্যায় ক্ষয়ক্ষতিও অনেক কম হবে।

মানববন্ধনের খবর জানিয়েছেন রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও গাইবান্ধার নতুন কথা’র প্রতিনিধিরাঃ

রংপুরঃ রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী। এখানে বক্তব্য রাখেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য তুহিন ওয়াদুদ, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুজ্জামান খান প্রমুখ। জেলার পীরগাছা উপজেলার শিবদেব পাকার মাথায় সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে ৭ কিলোমিটার অংশজুড়ে নদীর পাড়ে শত শত বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। কর্মসূচি পালিত হয়েছে গঙ্গাচড়া উপজেলার ভিভিন্ন পয়েন্টে।

লালমনিরহাটঃ জেলার তিস্তা রেল সেতু ও সড়ক সেতুর মাঝের বাঁধে, আদিতমারীর মহিষখোঁচা, কালীগঞ্জের আউলিয়ার হাট, হাজিরহাট ও ভোটমারীসহ ১৯টি পয়েন্টে মানববন্ধন কর্মসূচিতে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহন করেন। তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের আহŸানে তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনা দ্রæত বাস্তবায়নের দাবিতে ঘণ্টাব্যাপী তিস্তার বাম তীরের ১৯টি স্থানে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনের অন্যান্য পয়েন্টগুলো হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী, নিজগড্ডিমারী, ধুবনী, পারুলিয়া, ডাউয়াবাড়ী, হলদিবাড়ী, কিশামত নোহালী, কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা, আউলিয়ারহাট, বাগেরহাট, মহিপুর সেতু এবং সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর ও গোকু ইউনিয়নের তিস্তা সেতু সংলগ্ন এলাকা। এই মানববন্ধনে হাজার হাজার নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করে উত্তর জনপদের কৃষি ও অর্থনীতি রক্ষার প্রাণ তিস্তা বাঁচানোর দাবি জানান। তিস্তা রেল সেতু ও সড়ক সেতুর মাঝের বাঁধে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের লালমনিরহাট জেলা সভাপতি গেরিলা লিডার শফিকুল ইসলাম কানু, সহসভাপতি অ্যাড. চিত্তরঞ্জন রায়, সাধারণ সম্পাদক বাদশা আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান, সাংস্কৃতিক কর্মী মাখন লাল দাস, নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত জহুরুল ইসলাম, আব্দুল খালেক ও গোলাম মাওলাসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা। মানববন্ধনে আরশিনগরের শিল্পী শরিফা খাতুন তিস্তা নদীর ওপর দুটি ভাওয়াইয়া গান পরিবেশন করেন।

গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে তিস্তার দুইপাড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে তিস্তা নদীর দুই পাড়ে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বেলকা ইউনিয়নের শ্যামরায়ের পাঠ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন ‘তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও’ সংগ্রাম পরিষদের উপজেলা আহবায়ক ছাদেকুল ইসলাম দুলাল, বেলকা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজি, বেলকা জাপার সাবেক সভাপতি মফিদুল হক মন্ডল, আ’লীগ  নেতা শাহিবুল আলম শাহীন, জাপা নেতা মোন্তাজ আলী, আনারুল ইসলাম, আব্দুর রফিক প্রমূখ।

নীলফামারীঃ নীলফামারীর ডিমলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড় সিংহেরশ্বর, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, ডালিয়াসহ জেলার বিভিন্ন অংশে একযোগে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। জলঢাকায় কৈমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মহসিন আলীর মাষ্টারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন জলঢাকা উপজেলা পরিষদ চেয়াররম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম পাশা এলিচ। বক্তব্য রাখেন শৌলমারী ইউনিয়ন  সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি রিপন আহাম্মেদ, ইউনিয়ন প্রজ্বন্মলীগ সভাপতি সুমন কাজী, সহ-সভাপতি আব্দুল বাকী, ৫নং তালুক শৌলমারী ইউপি সদস্য এনদাদুল হক, শৌলমারী বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রশিদুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা এ টি এম কামরুজ্জামান কামু প্রমুখ। অন্যদিকে কুড়িগ্রাম জেলায় তিস্তার দুই তীরে বিভিন্ন পয়েন্টে এ কর্মসূচী পালিত হয়েছে।