Site icon নতুন কথা

নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশী করোনা রোগী

বুলবুল আহমেদ, নাটোর : নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ৩১ শয্যার একটি করোনা ইউনিট চালু করা হলেও শনিবার (১২জুন) সকাল পর্যন্ত রোগী রয়েছে ৩৮ জন।করোনা আইসলেশান ওয়ার্ডে রোগী ধারণ ক্ষমতা না থাকায় আউট ডোরে রোগী রেখে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

অপরদিকে নাটোর সদর আধুনিক হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় জটিল রোগীদের রাজশাহী বা ঢাকায় প্রেরন করা হচ্ছে। ১৫ লিটার অক্স্রিজেন ধারন সম্পন্ন ক্যানুলা অক্স্রিজেন সিলিন্ডার দিয়ে সেন্ট্রাল অক্স্রিজেন সাপ্লাই সিস্টেম চালু করা হলেও অক্্িরজেন টারবাইন প্লান্ট স্থাপন করা হয়নি। রাজশাহী থেকে রিফিল করে করে এনে রোগীদের অক্স্রিজেন দেওয়া হচ্ছে।

নাটোর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ মঞ্জুরুর রহমান জানান, নির্মাণাধীন ২৫০ শয্যার একটি ফ্লোরে আরো ২০টি বেড স্থাপনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। উদ্বৃত্ত করোনা রোগীর চিকিৎসা যাতে পায় সে জন্য এই ব্যবস্থা । আশা করছি আগামি সপ্তাহ থেকে সেটি চালু করা সম্ভব হবে। এছাড়া আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ২০টি বড় অক্স্রিজেন সিলিন্ডার দিয়েছেন। এতে করে আপাতত কোন অক্স্রিজেন সঙ্কট হবেনা বলেই মনে করছি।

তিনি বলেন, চিকিৎসক সঙ্কট না থাকলেও নার্স আয়া ক্লিনার সহ অন্যান্য পদে জনবল সঙ্কট রয়েছে। ফলে আমাদের চিকিৎসা দিতে হীমশীম খেতে হচ্ছে।

নাটোরের সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান জানান , নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল ছাড়াও ভবঘুরে পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রাণের আমাজাদ মেমোরিয়াল হাসপাতাল ছাড়াও প্রাইভেট ক্লিনিককে বলে রাখা হয়েছে। উদ্বৃত্ত করোনা রোগীদের যে কোন পরিস্থিতি যাতে আমরা মোকাবেলা করতে পারি। তবে তিনি স্বীকার করেন ,আইসিইই না থাকায় অনেক করোনা রোগীকে রামেক হাসপাতালে বা ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।

Exit mobile version