শুক্রবার,২৯,মার্চ,২০২৪
24 C
Dhaka
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
Homeঅনুসন্ধিৎসাপ্রতিবেশনীরব ঘাতকঃ শব্দদূষণ

নীরব ঘাতকঃ শব্দদূষণ

নতুন কথা প্রতিবেদন : হাজারো ঘাতকের মধ্যে ভয়াবহ এক নীরব ঘাতকের নাম শব্দদূষণ। এই দানবের আক্রমণে অতিষ্ঠ রাজধানীর বাসিন্দারা। দেশের অন্যান্য জেলায় এই সমস্যা থাকলেও ঢাকা মহরের মত এত মারাত্মক আকার ধারণ করে নি। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই নাগরিক সমস্যা সর্বদাই উপেক্ষিত। দূষণ রোধে সরকারি সামান্য নীতিমালা থাকলেও তার প্রয়োগ নেই বললেই চলে।
ঢাকায় প্রতিদিনই মানুষ বাড়ছে। রাস্তায় নামছে নতুন নতুন গাড়ি। তৈরি হচ্ছে নতুন স্থাপনা। এই বাড়তি মানুষের চাহিদার জোগান দিতে গিয়ে বাড়ছে দূষণের মাত্রা। আবাসিক অনাবাসিক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমনকি হাসপাতালের আশপাশের শব্দদূষণের তীব্রতা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। রাজধানীতে দৈনন্দিন প্রয়োজনে বিপুল মানুষকে বাইরে যাতায়াত করতে হয়। চলতি পথে বিরক্তির প্রধান কারণ হচ্ছে বাসা, প্রাইভেট কার, সিএনজি, মোটর সাইকেলসহ নানা যানবাহনের বিকট ও গগনবিদারী হর্ন। জ্যামে আটকে থাকা গাড়িগেুলোর হর্ন অনবরত বাজতেই থাকে। অর্বাচীন চালকেরা জেনেশুনেই বাড়িয়ে তুলছে শব্দদূষণ। আবাসিক ও ভিআইপি এলাকায় রাত ১০ টার পর হর্ন বাজানো যাবে না। হাইড্রোলিক হর্ন তৈরি ও ব্যবহারে নিষিদ্ধ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের সামনে হর্ন বাজানো যাবে না-এমন কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করে হাইকোর্ট। কিন্তু এসব নির্দেশনা কেউ আমলে নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ৩০ টি কঠিন রোগের কারণ ১২ রকমের পরিবেশদূষণ। যার মধ্যে শব্দদূষণ অন্যতম। শব্দদূষণের কারণে রক্তচাপবৃদ্ধি, হৃদস্পন্দনে পরিবর্তন, হৃদপিন্ডে ও মস্তিস্কে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যেতে পারে। এজন্য শ্বাসকষ্ট, মাথাঘোরা, বমি বমি ভাব, স্মৃতিশক্তি হ্রাসসহ অসুস্থতা তৈরি হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শব্দের গ্রহনযোগ্য মাত্রা নির্ধারণ করেছে। শব্দের মাত্রা নির্ধারিত মাত্রার মধ্যে রাখতে অনেক দেশ প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু তা যথাযথ পরিপালন না করায় সম্প্রতি রাজধানী সহ সারাদেশে শব্দদূষণের মাত্রা নারকীয় আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, দেশে প্রতিনিয়ত যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। শব্দদূষণের মাত্রা কমাতে বিদ্যমান আইনের কঠোর বাস্তবায়ন এবং গণপরিবহন ব্যবস্থা জোরদারের তাগিদ দেন তিনি। স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী ভারতসহ অন্যান্য দেশেও সার্বক্ষণিক শব্দমাত্রা মনিটরিং নেটওয়ার্ক সিস্টেম চালু আছে, আমাদের দেশেও এ নেটওয়ার্ক চালু করা জরুরি।

সর্বশেষ