Site icon নতুন কথা

পাট ও চিনি শিল্প : মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অবিচ্ছেদ্য অংশ

।। নিতাই চন্দ্র রায় ।।

নিতাই চন্দ্র রায়

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের আত্মার আত্মীয়। তিনি ভালো করে জানতেন- কলকারখানার খেটে খাওয়া শ্রমিক ও মাঠে ঘাম ঝরানো কৃষকই তার সংগ্রামের সহযোদ্ধা। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য পাকিস্তান শাসক গোষ্ঠি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের আদমজী জোটমিলে বাঙালি-বিহারী ও হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে পরিকল্পিত দাঙ্গা বাধিয়ে অসংখ্য শ্রমিকের রক্তে রঞ্জিত করে নারায়ণগঞ্জের মাটি । ১৯৬৬ সালের ৭ জুন বঙ্গবন্ধু ও আটক নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে সারা দেশে ধর্মঘট পালিত হয়। ধর্মঘটের সময় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গিতে পুলিশের গুলিতে তেজগাঁও শিল্প এরাকায় মনুমিয়াসহ ১১ জন শ্রমকি নিহত হন।
১৯৬৬ সালের ৬ দফা, ‘৬৯-এর গণ অভ্যুত্থান, ‘৭০-এর নির্বাচন ও ‘৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে শিল্প শ্রমিকদের অবদান ছিল অবিস্মরণীয়। ‘৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলনে শ্রমিকেরা অংশ গ্রহণ না করলে ‘৬৯-এর গণ অভ্যুত্থান সফল হতো না। বাঙালির আশা-আকাঙ্খার প্রতীক শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধু হতে পারতেন না।‘৭০-এর নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারতো না বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তি যুদ্ধে বিজয়ী জাতির বিরল সম্মানে ভূষিত হতে পারতো না বাঙালি জাতি।পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দি হোয়ে থাকতে হতো আজীবন।
করোনা মহামারির কারণে দেশে প্রায় ২ কোটি লোক এবং ৫০ হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়ে। ২৫টি সরকারি পাট কল বন্ধের কারণে কাজ হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে ৩০ হাজার শ্রমিক। দেশে ৪ লাখ একর জমিতে আখ চাষ হয়। আখ চাষের সাথে ৫ লাখ কৃষক সরাসরি জড়িত। এই খাতে ২ লাখ কৃষি শ্রমিকের ৬ মাসের কর্ম সংস্থান হয়। ২৫টি পাটকল ও ৬টি চিনিকল বন্ধ করে শ্রমিকদের চরম দুর্দশায় নিপতিত করা হয়েছে। তারা অনাহারে, অর্ধাহারে এমন কি বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু বরণ করছেন। তাই আজ প্রশ্ন উঠেছে- এজন্য কি আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলাম? অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম? কিছুলোক স্বর্গে বাস করবে আর শ্রমিকেরা না খেয়ে বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে । তা হতে পারে না। স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ছিল ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কমিয়ে দেশের সকল মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান , চিকিৎসা ও শিক্ষা নিশ্চিত করা। তাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২০ শে ডিসেম্বর বলেন, ‘মেহনতি মানুষের জন্য ভাত কাপড়ের ক্যবস্থা করিতে না পারলে স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে পড়বে’।
জানা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত পাট ও চিনিকলগুলি আধুনিকায়ন করে লাভজনক করতে সরকারের ব্যয় হবে এক হাজার কোটি টাকা। এতে কর্মসংস্থান হবে দেড় লাখ লোকের। সরকার মিলকারখানার আধুনিকায়ন না করে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলি টানেল নির্মাণের মতো মেগা প্রকল্প গ্রহণ করছে। শ্রমকিরা এক জোট হয়ে রাস্তায় নামলে সরকারের এসব মেগা প্রকল্পের স্বপ্ন ম্লান হয়ে যাবে। বাংলাদেশের জাতীয় চার নীতির মধ্যে সমাজতন্ত্র অন্যতম। মেহনতি মানুষ সমাজতন্ত্র চায়। শোষিতের গণতন্ত্র চায়। লুটেরাদের শাসন চায় না। শ্রমিক মারার শাসন চায় না। কৃষক মারার শাসন চায় না। কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য চায়। রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ধ্বংস হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনষ্ট হবে। এই সুযোগে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির প্রতিশোষ স্পৃহা জেগে উঠবে, যা জাতির জন্য হবে ভয়াবহ। প্রযুক্তিগত পশ্চাৎপদতার কারণে পাটকল চিনিকল বন্ধ হওয়ার জন্য শ্রমকিরা দায়ী নন। এজন্য দায়ী সরকারের আমলা ও ভুল নীতি নির্ধারণ। কী কারণে বাংলাদেশ জুটমিলস করপোরেশন ও বাাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধিত হয়নি তা উৎঘাটনের জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন গঠন করা প্রয়োজন।
মুজিব বর্ষে শ্রমিকদের নির্যাতন করলে জাতির জনকের আত্মা শান্তি পাবে না। বঙ্গবন্ধু বলতেন, আমার মৃত্যুর পরও যদি রাষ্ট্রের চারটি মূলনীতি বাস্তবায়িত হয়,তাহলে আমার আত্মা শান্তি পাবে। গরীর কৃষকের কষ্টে, শ্রমিকের কষ্টে বঙ্গবন্ধু চোখের জল ফেলতেন। তিনি কখনোই কৃষকÑশ্রমিক মেহনতি মানুষের স্বার্থ পরিপন্থী কোনো কাজের সমর্থক ছিলেন না।
সম্প্রতি (২৭.২.২০২১) পাট-সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারি সংগ্রাম পরিষদ এবং বাংলাদেশ আখ চাষি ও চিনিকল রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের আহবানে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে কৃষক-শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়। দাবিগুলো হলো-এক. চিনিকলগুলোর যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি অত্যন্ত পুরাতন এবং শ্রমঘন হওয়ায় উৎপাদনের গতি মন্থর ও ব্যয় বহুল হয়ে পড়েছে। চিনি উৎপাদনকারী অন্যান্য দেশ আধুনিকায়নের মাধ্যমে এই সংকটের উত্তরণ ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। ব্যয় সাশ্রয়ী নিবিড় ও উন্নত প্রযুক্তি সংযোজনের মাধ্যমে দেশের পাট ও চিনিকলসমূহকে আধুনিকায়ন করতে হবে।
দুই. সংকট মোকাবেলায় সফল চিনি শিল্প পরিচালনাকারী দেশগুলোর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজেদের বাস্তবতার নিরিখে এই শিল্পকে বহুমুখীকরণ করতে হবে। নিজ দেশেই এর উদাহরণ রয়েছে। কেবলমাত্র স্পিরিট ও পানীয় উৎপাদনের কারণে দর্শনার কেরুঅ্যান্ড কোম্পানী সুগার মিলটি লাভজনকভাবে পরিচালতি হচ্ছে।
তিন.দেশে বর্তমানে বার্ষিক চিনির চাহিদা ১৬ লাখ টনের বিপরীতে আখ থেকে চিনি উৎপাদিত হয় মাত্র ৮০ থেকে ৯০ হাজার মেট্রিক টন। অথচ বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার এই চিনি বিক্রি না করে চিনিকলে মজুদ করে রাখে। বাজার নিয়ন্ত্রণের নামে চিনিকলের উৎপাদিত চিনি মজুদ করে রাখা যাবে না। মজুদ রাখার প্রয়োজন হলে যথা সময়ে চিনিকলগুলিকে মজুদ চিনির দাম পরিশোধ করতে হবে।
চার. ডাম্পিং নীতির কার্যকারীতা বন্ধের জন্য আমদানিকৃত বেসরকারি চিনি ও দেশীয় চিনিকলে উৎপাদিত চিনির দামে সমতা আনতে হবে। সমতা আনতে প্রয়োজনে আমদানিকৃত চিনির ওপর নির্ধারিত পরিমাণ শুল্ক ধার্য করতে হবে।
পাঁচ. চিনি আমদানি, দেশীয় চিনি মজুদ-বিক্রিসহ সকল ক্ষেত্রে রাষ্ট্রনীতির সফল প্রয়োগের জন্য কৃষি, শিল্প, অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে। এই সেলের সুপারিশের ভিত্তিতে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
ছয়. ভোক্তা অধিকারের প্রশ্ন তুলে কম মূল্যে চিনি বিক্রির অবাধ অধিকার দিয়ে চিনি শিল্পকে ধ্বংস করা যাবে না। চিনি শিল্প থেকে প্রাপ্ত ভ্যাট-ট্যাক্স শুল্ক রাষ্ট্রীয় খাতে ব্যয় না করে নির্দিষ্ট ফান্ডে জমা করতে হবে, যা দ্বারা চিনি শিল্প রক্ষা ফান্ড গঠিত হবে।যেখান থেকে চিনিকল ও আখ চাষিরা বিনা সুদে ঋণ পাবে।
সাত. অপ্রয়োজনীয় রাজনৈতিক নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। নিয়োগ বাণিজ্যসহ অব্যবস্থাপনা ও ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
আট. বাজার মূল্যের সাথে সংগতি রেখে আখের দাম নির্ধারণসহ পরিবেশ উপযোগী টেকসই ও উচ্চ ফলনশীল আখ বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করে আখ চাষি ও চিনিকলকে রক্ষা করতে হবে।
নয়. আখ চাষিরা চিনিকলের প্রধান কাঁচামাল সরবরাহ করেন। কিন্তু তারা কোনো সুবিধা পান না। আখ সরবরাহ করে জাতিকে চিনি খাওয়ান আখ চাষিগণ। তাই আখ চাষে উৎসাহ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আখ চাষিদের উৎপাদনের সকল উপকরণে ভর্তুকি প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি অন্যান্য ফসল চাষিদের ন্যায় আখ চাষিদেরকেও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সকল সুযোগের আওতায় আনতে হবে।
সমাবেশে প্রবীণ শ্রমিক নেতা পাট-সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারি সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক সহিদুল্লাহ চৌধুরীর কথা- রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প খাত মুক্তিযুদ্ধের অর্জন ও চেতনার অবিচ্ছেদ্য অংশ। রাষ্ট্রায়ত্ত খাত বিলুপ্ত হলে এর দায় বঙ্গবন্ধু ওপর পড়ে। এটি হলে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের মধ্যে কোনো পারতক্য থাকবে না। আমলা ও লুটেরারা এটা বুঝবে ন্।া রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে তা বুঝতে হবে। উপলব্ধি করতে হবে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ দিয়ে। পাট ও চিনি শিল্পের মতো কৃষি ভিত্তিক শিল্প বিরাষ্ট্রীকরণ দেশের জন্য হবে আত্মঘাতী। ঐতিহাসিকভাবে পাটের অর্থনীতি আমাদের গোটা অর্থনীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। গণঅভ্যুত্থানসহ বাংলাদেশের আত্মপরিচয়ের আন্দোলনের দাবির সাথে পাট শিল্প অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। অথচ আজ এই শিল্পকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সংবিধানে মূলনীতির ভিত্তিতে দেশের সকল ভারী শিল্পের সাথে চিনি শিল্পকে জাতীয় করণ করা হয় । আজ সেইসব শিল্প ধ্বংস করে কয়েক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানে আঘাত হানা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, জাতীয়করণকৃত পাট ও চিনিকলের জায়গা-জমি সম্পদ অনেকের লোলুপ দৃষ্টিতে পড়েছে। এসকল রাষ্ট্রীয় সম্পদ গ্রাস করার জন্য লুটপাটকারী শ্রেণি মুখিয়ে আছে। পিপিআর বা লিজের নামে এই সম্পদ লুফে নিতে তারা নানা চক্রান্ত করছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের এদেশীয় দোসরদের কারসাজিতে বিএনপি-জামাত সরকারের গৃহীত বিরাষ্ট্রিকরণ নীতিরই পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে। ঘোষণার আর ও বলা হয়, পাট-সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সুপারিশ ও প্রস্তাবনাসহ সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে পাট ও পাট শিল্প, চিনি ও চিনি শিল্প এবং আখ চাষিরা রক্ষা পাবে। পাট-চিনিসহ অন্যান্য শিল্প চাঙ্গা হলে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। বাংলাদেশের ব্র্যান্ড পাট তার ঐতিহ্য ফিরে পাবে এবং সংস্কৃতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে সক্ষম হবে।
১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের ঐতিহাসিক নির্বাচনী ঘোষণার ২১ দফার ৩ ও ৮ দফায় পাট ব্যবসা জাতীয়করণএবং পূর্ববঙ্গে কৃষি ও শিল্পখাত আধুনিকায়নের মাধ্যমে দেশকে স্বাবলম্বী করা এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মূল নীতি মাফিক শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলা ছিল। সেই অঙ্গিকার রাষ্ট্র ভুলে যেতে পারে না।শুধু তাই নয়, ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর স্বাধীনতার আকাঙ্খা, সংবিধানের মূলনীতি এবং তার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ইন্ডষ্ট্রিয়াল এন্টার প্রাইজ অর্ডার,১৯৭২ (পিও২৯) এর আওতায় দেশের সকল ভারী শিল্পের সঙ্গে চিনি শিল্পকেও জাতীয় করণ করা হয়। স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু নীতি ছিল লাভ-লোকসানের ভিত্তিতে নয়, জাতিও জনগণের কল্যাণ ও সেবা দিতে রাষ্ট্রায়ত্ত শিলপ খাত সমূহ পরিচারিত হবে। বর্তমান সরকার ও তার নির্বাচনী অঙ্গিকার ঘোষণা করেছিল বন্ধকৃত রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ও কল-কারখানা চালু করা সহ চালু শিল্প,কল-কারখানাগুলো যুগোপযোগী ও উন্নত প্রযুক্তির সংযোজন দ্বারা লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে শ্রমিক-কর্মচারীসহ দেশের আপামর জণসাধারণের জীবন-জীবিকার মান বৃদ্ধি করা। ক্ষমতার প্রথম দিকে নির্বাচনী অঙ্গিকার ও স্বাধীনতার আকাঙ্খা পূরণের লক্ষ্যে সরকার চিনি শিল্পকে রক্ষার জন্য দূরদর্শী ও বাস্তবসূচক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বিশ্বের চিনি উৎপাদনকারী দেশশগুলো তাদের চিনি শিল্পকে আধুনিকীকরন করে উৎপাদন ব্যয় হ্রাস করে সমস্যার উত্তরণ ঘটিয়েছে।আমাদের ও সেই পথেই অগ্রসর হতে হবে।

লেখক: সাবেক মহাব্যবস্থাপক (কৃষি), নর্থবেঙ্গল সুগার মিলস্ লিঃ।

Exit mobile version