Site icon নতুন কথা

ফসলের নায্য মূল্য নিশ্চিতের দাবি জানালেন এমপি বাদশা

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ কৃষকের উৎপাদিত ফসলের নায্য দাম নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) চারঘাটের ঝিকরা ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত এক কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান। ওয়ার্কার্স পার্টির চারঘাট উপজেলা কমিটি এই কর্মিসভার আয়োজন করে।

কর্মিসভায় ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘কৃষি খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম বড় জোগানদার। আমাদের কৃষকরা বিভিন্ন প্রতিকূলতা কাটিয়ে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করছে। কষ্ট করে ফসল ফলালেও কৃষক উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। অর্থনৈতিকভাবে সিংহভাগ কৃষক এমনিতেই দুর্বল। এর মধ্যে যদি তারা উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পায় তাহলে তাদের মেরুদ-টা পুরোপরি ভেঙে যাবে।’

ফসলের নায্য দাম নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রধানতম এই নেতা বলেন, কৃষকের স্বার্থ রক্ষা করতে না পারলে ক্রমাগতভাবে কৃষি খাতে ধস নেমে আসবে। যা আমাদের দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কৃষি কাজে ব্যবহৃত সার, বীজসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দ্রব্যমূল্যও নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। মনে রাখতে হবে, কৃষি খাতকে বাদ দিয়ে বা কৃষকের স্বার্থকে উপেক্ষিত করে কোনোক্রমেই উন্নয়ন সম্ভব নয়।’

করোনাকালে মানুষের যেকোন বিপদে পাশে দাঁড়াতে দলের স্থানীয় নেতাকর্মিদের নির্দেশ দিয়ে এমপি বাদশা বলেন, করোনার এমন দুর্দিনে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া নয়, মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই হচ্ছে প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা। আমরা সবসময় মানুষের পাশে থাকার নজির স্থাপন করেছি। মহামারিতেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। আপনাদের এলাকায় কেউ বিপদে পড়লে দল-মত নির্বিশেষে তাদের পাশে দাঁড়াবেন; এমনটাই প্রত্যাশা।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির চারঘাট উপজেলার সভাপতি হায়দার আলীর সভাপতিত্বে কর্মিসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- দলের রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, জেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আশরাফুল হক তোতা, জেলা সম্পাদকম-লীর সদস্য ফরজ আলী, জেলার সদস্য মতিউর রহমান তপু। উপস্থিত ছিলেন- জেলার সদস্য কামরুল হাসান সুমন, মামুনুর রশীদ জন, মোজাম্মেল হক, এনামুল হক প্রমুখ। কর্মিসভা পরিচালনা করেন জেলা কমিটির সদস্য হামিদুল ইসলাম।

Exit mobile version