বাংলাদেশ কি মিশর হতে যাচ্ছে?

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার পরদিন আমার এক বন্ধুর ফোনকল পেয়েছিলাম। বন্ধুটি সেদিন ঢাকার রাস্তায় বেশ কিছু সময় কাটিয়েছিলেন। তিনি আমাকে বলেছিলেন, কীভাবে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরা বিশাল বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল এবং আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল। আমি তাঁকে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক কাঠামো ও তাদের রাজনীতির দিকে ঝুঁকে পড়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করি। তিনি তখন বলেন, বিক্ষোভটি সুসংগঠিত বলেই মনে হয়েছে। ছাত্ররা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন শুরু করলেও তা শেষ পর্যন্ত সরকারের পদত্যাগের দাবি পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিল। তবে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা আগেও মনে হয়নি, সরকারের পতন হতে পারে। সবাই ভেবেছিল, সরকার আরও সহিংস হবে।

বাংলাদেশে এই বিক্ষোভ একেবারে আকস্মিক নয়। এটি মূলত এক দশক আগে শুরু হওয়া ক্ষোভের চক্রের একটি অংশ। দাবিগুলোও বেশ পুরোনো। যেমন কোটা সংস্কার করা, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করা, সরকারি দমন-পীড়ন বন্ধ করা ইত্যাদি। আপাত সরল এই দাবিগুলো হয়তো সহজেই সমাধান করা যেত। কিন্তু কোটা সংস্কারের দাবিগুলো দেশের অভিজাত শ্রেণি সব সময় মরিয়া হয়ে দমন করার চেষ্টা করেছে। এই কোটার সঙ্গে দেশের জন্মের ইতিহাস জড়িত। কারণ সিংহভাগ কোটা দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ ছিল, যারা ১৯৭১ সালে জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন। অনেকে জীবন দিয়েছেন, অনেকে অঙ্গ-প্রতঙ্গ হারিয়েছেন।

তবে এটিও স্বীকার করতে হবে যে, এ ধরনের কোটা ব্যবস্থা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বহাল রাখা উচিত নয়। একই সঙ্গে এটিও স্বীকার করতে হবে যে, কোটা ব্যবস্থার সঙ্গে দেশের তরুণদের কর্মসংস্থানের সমস্যা এবং দেশে ইসলামপন্থী শক্তির পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়টি জড়িত। স্মরণ করা কর্তব্য, বাংলাদেশের ইসলামপন্থী দলগুলো মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে আপস করেছিল।

যা হোক, ২০১৮ সালে একবার কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা এই কোটা ব্যবস্থাই বাতিল করে দিয়েছিলেন। এরপর কোটা ব্যবস্থা বহাল থাকবে কি থাকবে না, চলতি বছরে তার সিদ্ধান্ত চলে যায় আদালতে। হাইকোর্ট যুক্তি দেন, কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করতে হবে। কিন্তু পরে জুন মাসে, সুপ্রিম কোর্ট রায় দেন, কোটা ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে পুনর্বহাল করা যাবে না, আংশিকভাবে করতে হবে। এই রায়ের পর আন্দোলন নতুন রূপ পায়। আন্দোলনকারীরা শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে আন্দোলন শুরু করে।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার পরদিন আমার এক বন্ধুর ফোনকল পেয়েছিলাম। বন্ধুটি সেদিন ঢাকার রাস্তায় বেশ কিছু সময় কাটিয়েছিলেন। তিনি আমাকে বলেছিলেন, কীভাবে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরা বিশাল বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল এবং আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল। আমি তাঁকে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক কাঠামো ও তাদের রাজনীতির দিকে ঝুঁকে পড়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করি। তিনি তখন বলেন, বিক্ষোভটি সুসংগঠিত বলেই মনে হয়েছে। ছাত্ররা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন শুরু করলেও তা শেষ পর্যন্ত সরকারের পদত্যাগের দাবি পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিল। তবে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা আগেও মনে হয়নি, সরকারের পতন হতে পারে। সবাই ভেবেছিল, সরকার আরও সহিংস হবে।

বাংলাদেশে এই বিক্ষোভ একেবারে আকস্মিক নয়। এটি মূলত এক দশক আগে শুরু হওয়া ক্ষোভের চক্রের একটি অংশ। দাবিগুলোও বেশ পুরোনো। যেমন কোটা সংস্কার করা, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করা, সরকারি দমন-পীড়ন বন্ধ করা ইত্যাদি। আপাত সরল এই দাবিগুলো হয়তো সহজেই সমাধান করা যেত। কিন্তু কোটা সংস্কারের দাবিগুলো দেশের অভিজাত শ্রেণি সব সময় মরিয়া হয়ে দমন করার চেষ্টা করেছে। এই কোটার সঙ্গে দেশের জন্মের ইতিহাস জড়িত। কারণ সিংহভাগ কোটা দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ ছিল, যারা ১৯৭১ সালে জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন। অনেকে জীবন দিয়েছেন, অনেকে অঙ্গ-প্রতঙ্গ হারিয়েছেন।

তবে এটিও স্বীকার করতে হবে যে, এ ধরনের কোটা ব্যবস্থা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বহাল রাখা উচিত নয়। একই সঙ্গে এটিও স্বীকার করতে হবে যে, কোটা ব্যবস্থার সঙ্গে দেশের তরুণদের কর্মসংস্থানের সমস্যা এবং দেশে ইসলামপন্থী শক্তির পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়টি জড়িত। স্মরণ করা কর্তব্য, বাংলাদেশের ইসলামপন্থী দলগুলো মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে আপস করেছিল।

যা হোক, ২০১৮ সালে একবার কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা এই কোটা ব্যবস্থাই বাতিল করে দিয়েছিলেন। এরপর কোটা ব্যবস্থা বহাল থাকবে কি থাকবে না, চলতি বছরে তার সিদ্ধান্ত চলে যায় আদালতে। হাইকোর্ট যুক্তি দেন, কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করতে হবে। কিন্তু পরে জুন মাসে, সুপ্রিম কোর্ট রায় দেন, কোটা ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে পুনর্বহাল করা যাবে না, আংশিকভাবে করতে হবে। এই রায়ের পর আন্দোলন নতুন রূপ পায়। আন্দোলনকারীরা শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে আন্দোলন শুরু করে।

লেখাঃ বিজয় প্রসাদ