শুক্রবার,১৯,এপ্রিল,২০২৪
37 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Homeজাতীয়ভবিষ্যত মহামারীতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে বাংলাদেশসহ ৪৭ দেশের প্রতিবেদন

ভবিষ্যত মহামারীতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে বাংলাদেশসহ ৪৭ দেশের প্রতিবেদন


নতুন কথা ডেস্ক :
 জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহ কোভিড -১৯ মহামারী নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বাস্থ্য এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এমন মহামারীর প্রভাব কমাতে কিভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে সে সম্পর্কে মতামত জানিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪৭টি দেশ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে l

সিরাক-বাংলাদেশ রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

জাতিসংঘের উচ্চ-পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরাম (এইচএলপিএফ) টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ (এসডিজি) বাস্তবায়নের অগ্রগতির মূল্যায়ন করার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের অধিবেশন।

বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরে ভলান্টারি ন্যাশনাল রিভিউ (ভিএনআর) প্রক্রিয়াটিতে এসডিজি বাস্তবায়ন ও পর্যালোচনা কমিটির নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিটি জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে এসডিজির লক্ষ্য অর্জনের বিষয়গুলো উঠে আসে l

এই ভিএনআর রিপোর্ট ২০২০ এর প্রতিফলন হিসেবে, তরুণদের মতামত উত্থাপন এবং সম্পূরক সুপারিশ প্রদানের উদ্দেশ্যে হিসেবে সিরাক-বাংলাদেশ এবং কোয়ালিশন অব ইয়ুথ অরগানাইজেশনস ইন বাংলাদেশ (সিওয়াইওবি)। গত ১৩ই জুলাই সারাদেশের তরুণ সংগঠনসমূহের অংশগ্রহণে একটি জাতীয় মত বিনিময় সভার আয়োজন করে l

তরুণ সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ অর্থবহ অংশগ্রহণ, টেকসই নগরায়ন, পরিবেশ বান্ধব ব্যবসা এবং শিল্পায়নের গুরুত্ব দেন। যা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং পরিকল্পনা কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি এজেন্সিগুলিতে জমা দেওয়া হয়েছে।

সারাদেশ থেকে সর্বমোট ২৫টি যুব সংগঠন এই ১৭টি এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শ প্রদান করেছে, যেখানে নিরাপদ ও উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, মান সম্মত এবং দক্ষতা উন্নয়ন ভিত্তিক শিক্ষার ব্যবস্থা, দারিদ্র বিমোচন ও জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা শূন্যে নামিয়ে আনা, যুববান্ধব স্বাস্থ্যসেবা উন্নতকরণ, প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষা, যুব নেতৃত্বাধীন উদ্যোগের জন্য সহজ শর্তে অর্থায়নের সুযোগ বৃদ্ধি, এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অধিকার ও দাবির মধ্যে সুপারিশ হিসেবে রয়েছে- বৈষম্য, সহিংসতা ও দুর্নীতি দূরীকরণ এবং তরুণদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় নীতিমালা গ্রহণ করা।

যে ২৫টি তরুণ সংগঠন অংশগ্রহণ ও সমর্থন করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছে- সিরাক-বাংলাদেশ, কোয়ালিশন অব ইয়ুথ অরগানাইজেশনস ইন বাংলাদেশ (সিওয়াইওবি), বাংলাদেশ ইয়ুথ হেলথ অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (বিহান), বেঙ্গল এইড, ঘাশফুল, গোলস ফর জেনারেশন, ইচ্ছে ফোরাম- রাজশাহী, আইওয়াইএফপি বাংলাদেশ, জাগ্রত বিবেক ফাউন্ডেশন, কপোত ইয়ুথ অরগেনাইযেশন, রুমিসা ফাউন্ডেশন, এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম, স্বচ্ছ ফাউন্ডেশন, স্পিক এন্ড এক্ট, তরি, জাতিসংঘের যুব উপদেষ্টা পরিষদ বাংলাদেশ, উইথ সি, ওয়াক ফর অল, ইয়ুথ নেক্সাস, ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার, ওয়াই-কোয়ালিশন, ইয়ং ফর চেঞ্জ, ইয়ুথ হাব, ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এবং ইয়ুথ এগেইন্সট হাঙ্গার।

সর্বশেষ