Site icon নতুন কথা

ভ্যাকসিন সংকট সরকারের অপরিনামদর্শীতার ফল -মেনন

ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সমাবেশ

নতুন কথা প্রতিবেদন: “করোনা সংক্রমণ রোধে ভ্যাকসিন সঙ্কট সরকারের অপরিনামদর্শী নীতির ফল”-মন্তব্য বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী কমরেড রাশেদ খান। ১৪ দলের অনতম্য নেতা বর্ষীয়ান বামপন্থী এই নেতা পার্টির ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে সংকটের আশঙ্কায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ মন্তব্য করেন। ২৯ এপ্রিল ওই সভায় তিনি ভিডিও কলে যুক্ত হন।
এ সময় তিনি বলেন, “একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিতে গিয়ে সরকার এক ঝুড়িতে সব ডিম রেখেছিল। ভ্যাকসিন কূটনীতিতেও সরকারের পা ফঁসকে ছিল।”
কমরেড মেনন বলেন, “ভারতে তীব্র করোনা সংকট সৃষ্টি হয়েছে, নিজ দেশের প্রয়োজন না মিটিয়ে অন্য কাউকে ভ্যাকসিন দেবেনা সেটাই স্বাভাবিক। সরকার ভালোভাবে যাত্রা শুরু করলেও এখন মাঝপথে তরী ডোবার উপক্রম হয়েছে। এখন চারিদিকে পথ খুঁজচ্ছে।”
তিনি বলেন, অক্সিজেনের ক্ষেত্রেও মাত্র দু’টি প্রতিষ্ঠান ও ভারতের ওপর নির্ভরতা একই সংকট তৈরী করছে। গত বছরের অঘোষিত লকডাইনে “দিন আনি দিন খাই” মানুষগুলো কিছুটা সহায়তা পেয়েছিল। এবার সেটা না পাওয়ার কারণে গরিব মানুষরা খুবই কষ্টে আছে। ইতিমধ্যে প্রথম লকডাউনেই আড়াই কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে নেমে গেছে। এবার সেটা কোন পর্যায়ে যাবে তা এখনই বলা যাবে না।
করোনা সংকটকাল উত্তরণে সম্মিলিত উদ্যোগ সম্পর্কে রাশেদ খান মেনন বলেন, সরকার ও সরকারীদল ঐক্যবদ্ধভাবে সংক্রমণ মোকাবেলার কথা বললেও সেটা কথার কথা। তারা বরং হেফাজতের সাথে সমঝোতার সূত্র খুঁজতে বেশি আগ্রহী। জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলগুলোকে বাদ দিয়ে কেবল আমলাতন্ত্রের ওপর নির্ভর করে করোনা মোকাবেলার নীতি দেশে যে রাজনৈতিক শূণ্যতা সৃষ্টি করেছে তাতে দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যত বিপদাপন্ন। তিনি বলেন, উন্নয়নের গাড়ীর গতি পাওয়ার বদলে গর্তে পরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় নতুন প্রজন্মকেই তাদের ভবিষ্যত নিশ্চয়তার দায়িত্ব নিতে হবে।”
ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক কমরেড কিশোর রায়, যুবনেতা মোঃ তৌহিদ, গার্মেন্টস শ্রমিকনেতা রফিকুল ইসলাম সুজন, গৃহশ্রমিকনেতা মমতাজ বেগম প্রমুখ।

Exit mobile version