রবিবার,৯,নভেম্বর,২০২৫
26 C
Dhaka
রবিবার, নভেম্বর ৯, ২০২৫
প্রচ্ছদসম্পাদকীয়উপ-সম্পাদকীয়শিক্ষা জাতীর মেরুদন্ড, শিক্ষক-কর্মচারীরা অপরিহার্য

শিক্ষা জাতীর মেরুদন্ড, শিক্ষক-কর্মচারীরা অপরিহার্য

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড আর সেই মেরুদন্ড সোজা রাখতে,ভূমিকা রাখেন মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক সমাজ।দুর্ভাগ্য আমাদের শিক্ষকদের বেতন,ভাতা, সন্মানি নিয়ে শিক্ষক সমাজ বরাবর অসন্তুষ্ট। বরাবরের মতো এবারেও এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা রাস্তার আন্দোলন থেকে অনশণ করছেন।

এই আন্দোলনেও শিক্ষক-কর্মচারীরা কাঁদুনে গ্যাস,সাউন্ড গ্রেনেড,জলকামান মোকাবিলা করেছেন।২০ শতাংশ বাড়িভাড়া,চিকিৎসা ভাতা আর উৎসব ভাতা বৃদ্ধির যৌক্তিক লড়াই লড়ছেন,তারা। ঢাকার রাস্তায় এই আন্দোলন নতুন কোনো ঘটনা না। মূল্যস্ফীতির এই সময়ে শিক্ষকরা বেচে থাকার জন্য আর্থিক দাবি জানিয়েছেন, করুনা নয় এটা তাদের পাওনা। দুঃখজনক হলেও সত্য, তাদের প্রয়োজন কেউ উপলব্ধি করেন নাই।সন্তান না কাঁদলে যেমন মায়ে খেতে দেয়নার মতো অবস্থা। কোনো সন্তান আর শিক্ষকতা পেশা হিসেবে ভবিষ্যতে নেবে কি না,সন্দেহ রয়েছে। যে রাষ্ট্র শিক্ষকদের মর্যাদা নিশ্চিত করতে পারে না,তার চাইতে দুর্ভাগ্য আর কিছু হতে পারে না।

মেধাবীরা শিক্ষক পেশায় না আসলে জাতির কপালে দেখা দিবে অশনিসংকেত। উচ্চবিত্তের সব শিক্ষার দেশী বিদেশি ব্যাবস্থা আছে কিন্তু মধ্যবিত্ত আর আর নিম্নবিত্তের মানুষের পথ একটা বেসরকারি স্কুল কলেজ সর্বোচ্চ সরকারি স্কুল কলেজ জনসংখ্যা অনুপাতে সরকারি স্কুল কলেজ সীমিত, আর তাই জাতীয়করণ আজ সময়ের দাবি। রাষ্টিয় অপচয় হয় অনেক খাতে কিন্তু মানুষ গড়ার কারিগরদের জন্য কর্তৃপক্ষের হাত ভারি হয়ে যায়। ২০ শতাংশের বিপরীতে জোটে ৫ শতাংশ। না দিলেই ভালো ছিলো দিয়ে আরেকবার অমর্যাদা করা হলো। শিক্ষার্থীদের সামনে শিক্ষকদের এই অমর্যাদা শিক্ষকদের মাথা নিচু করে দিচ্ছে। জাতি গঠনে যারা অপরিহার্য তাদের মর্যাদা রক্ষায় সকলের শিক্ষক কর্মচারীদের দাবির প্রতি সন্মান, সন্মতি ও সংহতি প্রয়োজন।

সর্বশেষ