শুক্রবার,১৯,এপ্রিল,২০২৪
36 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Homeসংগ্রামে সংগঠনসাপের মুখে চুমু খাওয়া নীতি বাংলাদেশের জন্য সুখকর হবে না- ছাত্র মৈত্রী

সাপের মুখে চুমু খাওয়া নীতি বাংলাদেশের জন্য সুখকর হবে না- ছাত্র মৈত্রী

নতুন কথা প্রতিবেদন: আজ ২০ মার্চ, ২০২১ তারিখ সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও সংখ্যালঘু গ্রামে হেফাজতী সন্ত্রাসীদের সাম্প্রদায়িক হামলার সাথে জড়িতদের বিচার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্টকারী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের গডফাদার মামুনুল গংদের নিষিদ্ধের দাবিতে মশাল মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অতুলন দাস আলোর সঞ্চালনায় এই মন্তব্য করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী আব্দুল মোতালেব জুয়েল।
এসময় তিনি বলেন, ‘১৭ মার্চ সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁওয়ে সংখ্যালঘু গ্রামে মানুনুল হকের অনুসারী হেফাজতী গং পরিকল্পিতভাবে পূর্ণপ্রস্তুতি নিয়ে মাইকে ঘোষনা দিয়ে হামলা করে। ফেইসবুকে ধর্ম অবমাননার অযুহাতে ঐ গ্রামে সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে তারা শতাধিক ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেয়, লুটপাট করে। ভাংচুর চালায় মন্দিরে। কথিত ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ঝুমন দাসকে দু’দিন আগে গ্রেফতার করলেও পুলিশ তখন নীরব ভূমিকা পালন করে।’
তিনি আরো বলেন,‘আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্নের সাথে লক্ষ্য করছি দীর্ঘ কয়েকবছর সরকার হেফাজতীদের সাথে আপোষকামী নীতি অবলম্বন করছে। যেখানে দেশের মুক্তবুদ্ধি চর্চা করা লেখক, কার্টুনিস্ট, ব্লগারদের আইসিটি এ্যাক্টের মাধ্যমে নির্বিচারে গ্রেফতার করা হচ্ছে।’

Notunkotha
ছাত্র মৈত্রীর সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী মশাল মিছিল

তিনি হেফাজতে ইসলাম যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামাতের দ্বিতীয় ভার্সন উল্লেখ করে বলেন, ‘এই হেফাজতের জন্ম স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতে ইসলামের গর্ভ থেকে। এটা সরকার প্রধান খুব ভালভাবেই জানেন। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় ফেলে দিতে চাইলেও তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। তারপরেও বিষাক্ত এই কালসাপের সাথে সরকারের আপোষনীতি অত্যন্ত এটা বেশ স্পষ্ট এবং দুঃখজনক। সাপের মুখে চুমু খাওয়ার পরিনতি বাংলাদেশের জন্য সুখকর হবে না। সরকারের এই নীতি পরিহার করে হেফাজতী মামুনুল গংদের বিচার এবং নিষিদ্ধ করতে হবে।’
প্রতিবাদী মশাল মিছিল পরবর্তী রাজু ভাস্কর্যে সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে জামায়াত ও হেফাজতী গংদের প্রতীকী কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাশেদ খান, ইমরান হোসেন, জেসমিন আকতার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীন আহমেদ, সাহিত্য সংস্কৃতি ও ক্রিড়া সম্পাদক সুমাইয়া পারভীন ঝরা, দপ্তর সম্পাদক হিশাম খান ফয়সাল, কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল বিন শফী রাব্বী, কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম মাইনুল সাগর, ঢাকা মহানগর শাখার রাজনৈতিক শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক তামিম হোসেন চন্দনসহ বিভিন্ন শাখা কমিটির নেতৃবৃন্দ।

সর্বশেষ