রবিবার,৯,নভেম্বর,২০২৫
26 C
Dhaka
রবিবার, নভেম্বর ৯, ২০২৫
প্রচ্ছদরাজনীতিহোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্মদিন আজ

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্মদিন আজ

ভারতবর্ষের খ্যাতিমান রাজনীতিক ও আইনজীবী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্মদিন আজ। ১৮৯২ সালের এই দিনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের খ্যাতনামা বিচারক স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দী এবং দাদা বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ স্যার আবদুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী।জনগণের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা ও গণতন্ত্রের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও দায়িত্ববোধই ছিল হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবনের প্রধান রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য। দেশ ভাগের আগে ভারত ও পাকিস্তানের পাশাপাশি অখন্ড-স্বাধীন বাংলা নামে একটি ‘ডমিনিয়ন রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষাজীবন শুরু করার পর মায়ের নির্দেশে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ভাষা এবং সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন সোহরাওয়ার্দী। ১৯১৩ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক সম্মান অর্জন করেন এবং সেখান থেকে আইন বিষয়েও লেখাপড়া করেন এবং বিসিএল ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯১৮ সালে ‘বার অ্যাট ল’ অর্জন করেন। এর পর ১৯২১ সালে কলকাতায় ফিরে আইন পেশায় নিয়োজিত হন।১৯২৪ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের স্বরাজ পার্টিতে যোগদানের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। এ বছরেই কলকাতা পৌরসভার ডেপুটি মেয়র নির্বাচিত হন। ১৯২৭ সালে স্বরাজ পার্টি থেকে পদত্যাগ করে ১৯৩৬ সালের শুরুর দিকে তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট মুসলিম পার্টি গঠন করেন।সাংবিধানিক শাসনে বিশ্বাসী ও বাস্তববাদী এ রাজনীতিবিদ ১৯২৪ সালে কলকাতা সিটি করপোরেশনের ডিপুটি মেয়র, ১৯৩৭ সালে ফজলুল হক কোয়ালিশন মন্ত্রিসভার শ্রম ও বাণিজ্যমন্ত্রী, ১৯৪৩-৪৫ সালে খাজা নাজিমুদ্দিনের মন্ত্রিসভায় বেসামরিক সরবরাহ মন্ত্রী, ১৯৪৬-৪৭ সালে অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তান আমলে ১৯৫৪-৫৫ সালে আইনমন্ত্রী এবং ১৯৫৬-৫৭ সালে ১৩ মাস পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৮ সালে ইস্কান্দার মীর্জা পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারি করার পর ১৯৫৯ সালের আগস্টে তাকে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। পাকিস্তান নিরাপত্তা আইনে রাষ্ট্রবিরোধী মিথ্যা অপরাধ দেখিয়ে তাকে ১৯৬২ সালে গ্রেপ্তার করা হয় এবং করাচি সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হয়। কয়েক মাস পর তিনি মুক্তি পান। ওই বছরই তিনি আইয়ুববিরোধী আন্দোলনের উদ্দেশ্যে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) গঠন করেন। ১৯৬৩ সালে স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি দেশের বাইরে যান। লেবাননের রাজধানী বৈরুতে অবস্থানকালে ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর ৭১ বছর বয়সে মারা যান বাঙালির গর্ব, বাংলার এই শ্রেষ্ঠ সন্তান।

সর্বশেষ