মঙ্গলবার,৩০,এপ্রিল,২০২৪
33 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
Homeজাতীয়নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের দুই বছর

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের দুই বছর

নতুন কথা ডেস্ক : দুই বছর আগে আজকের দিনে নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজ পথে নেমে দেশ কাঁপিয়ে দিয়েছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের তীব্র আন্দোলনের কারণে সড়কের আইন সংস্কার করতে বাধ্য হয় সরকার। তবে এখনো পূরণ হয়নি অনেক দাবি। আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোও এখনো চলমান রয়েছে।

এদিকে আন্দোলনেই থেমে যায়নি শিক্ষার্থীরা পরবর্তিতে তারা গঠন করেছে ‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলন’ (নিসআ)। যার মাধ্যমে দাবি আদায়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে তারা।

নিসআর যুগ্ম আহ্বায়ক ইনজামুল হক রামিম বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। কোনো বিচারও হয়নি। উল্টো শিক্ষার্থীদের জড়ানো হয় ভিত্তিহীন মামলায়। মামলাগুলো এখনো চলমান। প্রশাসন চাইলে সন্ত্রাসীদের বিচারের সম্মুখীন করতে পারে। ইচ্ছা করলে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিতে পারে।

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকারীদের একজন, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী তারেক আজিজ ৯টি মামলার ‘খড়্গ’ নিয়ে দুই বছর ধরে ঘুরছেন। তিনি বলেন, প্রতি মাসেই আমাকে আদালতে হাজিরা দিতে হয়। মাঝেমধ্যে বাড়িতে পুলিশও আসে। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতেই আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছিলাম। আমাদের আন্দোলনের জেরেই রাষ্ট্র নতুন সড়ক আইন পাচ্ছে। অথচ আমাদের মামলার বোঝা নিয়ে দিন পার করতে হচ্ছে। মামলার কারণে আমি পড়ালেখাও ঠিকমতো করতে পারছি না।

২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীতে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া ও রাজীব নির্মমভাবে নিহত হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামে। সেই আন্দোলন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। আন্দোলনের একপর্যায়ে ৪ আগস্ট জিগাতলায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় হেলমেটধারীরা। সায়েন্স ল্যাবরেটরির মোড়েও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়। এতে উল্টো শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়। এর পরও দমে যায়নি শিক্ষার্থীরা। পরে অবশ্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আশ্বাসে সড়ক থেকে শ্রেণিকক্ষে ফেরে শিক্ষার্থীরা।

শহীদ রমিজদ্দিন কলেজের সামনের সড়কেই সূচনা হয়েছিল নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের। ৯ দফা দাবি জানিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। সেই দাবিগুলো পাঠ করেছিলেন রমিজউদ্দিন কলেজের শিক্ষার্থী ও বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শাহিদুল ইসলাম আপন। তিনি বলেন, আমরা রমিজউদ্দিন স্কুলের সামনে একটি আন্ডারপাস চেয়েছিলাম, সেটা হচ্ছে। মোটরসাইকেল আরোহীদের দুজনই হেলমেট পরছেন।

এ ধরনের ছোটখাটো কিছু দাবি পূরণ হয়েছে; কিন্তু সড়কে মৃত্যু তো থেমে নেই। নতুন যে সড়ক আইন হয়েছে, সেখানেও নানা ফাঁকফোকর রয়েছে। ফলে আমাদের দাবি পূরণ এখনো অনেক দূরে। আমরা চাই সড়ককে নিরাপদ রাখতে। এ জন্য আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম নিসআর মাধ্যমে আমরা এগিয়ে যাব।

সর্বশেষ