দুই দেশের পারস্পরিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক ব্যবস্থাকে ভারসাম্যপূর্ণ করতে রোববার (৩ আগস্ট) জাপান সাগরে যৌথ নৌ মহড়া শুরু করেছে চীন ও রাশিয়া। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি মস্কো ও বেইজিং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের সামরিক সহযোগিতা জোরদার করেছে। বিশেষ করে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। খবর এএফপি’র।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাশিয়ার ভ্লাদিভোস্টক বন্দরের কাছে জলসীমায় ‘জয়েন্ট সি-২০২৫’ নামে শুরু হওয়া এ মহড়া আগামী তিন দিন ধরে চলবে। উভয় পক্ষ ‘সাবমেরিন উদ্ধার, যৌথ সাবমেরিন-বিধ্বংসী, বিমান প্রতিরক্ষা, ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী অভিযান এবং সামুদ্রিক যুদ্ধ পরিচালনা করবে। রাশিয়ান জাহাজের পাশাপাশি মহড়ায় অংশগ্রহণ করছে গাইডেড-ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী শাওক্সিং এবং উরুমকিসহ চারটি চীনা জাহাজ।
মহড়ার পর, দুই দেশ প্রশান্ত মহাসাগরের প্রাসঙ্গিক জলসীমায় নৌ-টহল পরিচালনা করবে। চীন ও রাশিয়া গত কয়েক বছর ধরে নিয়মিত বার্ষিক যৌথ মহড়া চালিয়ে আসছে, যার সূচনা ২০১২ সালে ‘জয়েন্ট সি’ মহড়ার মাধ্যমে হয়। গত বছরের মহড়া হয়েছিল চীনের দক্ষিণ উপকূলে। শুক্রবার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বছরের মহড়ার লক্ষ্য ছিল দুই দেশের ‘বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর করা।
যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউক্রেনের অনেক মিত্র বিশ্বাস করে যে বেইজিং মস্কোকে সহায়তা প্রদান করেছে। কারণ, চীন কখনও রাশিয়ার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের নিন্দা করেনি বা তাদের সৈন্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়নি। তবে, চীন নিজেদেরকে একটি নিরপেক্ষ পক্ষ দাবি করে নিয়মিতভাবে যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে। একই সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোকে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সংঘাত দীর্ঘায়িত করার অভিযোগও করছে।



